এলসি মার্জিন না থাকায় ব্যবসায় গতি বাড়বে: ডিসিসিআই
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:২২
ঢাকা: বিলাসবহুল পণ্য ও বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় এমন কিছু পণ্য ছাড়া সবধরনের আমদানিতে এলসি মার্জিন তুলে দেওয়ার সিদ্ধন্তের ফলে পণ্য আমদানি পর্যায়ে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছিল তা অনেকাংশে নিরসন হবে। ফলে ব্যবসার গতি বাড়বে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে আমদানিকারকরা সবধরনের মূলধনী যন্ত্রপাতি, ভোক্তা পণ্য, মূলধনী কাঁচামাল-ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে কোনো ধরনের মার্জিন ছাড়া আমদানি করতে পারবে।
এদিকে, দেশের আর্থিক খাতে চলমান তারল্য সংকট, বিশেষকরে সিএমএসএমইদের সহজ ঋণ প্রাপ্তিতে জটিলতাসহ নানা কারণে এমনিতেই বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ যখন হ্রাস পেয়েছে, ঠিক সেসময় ‘আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন তহবিল’র আওতায় এ ধরনের একটি উদ্যোগ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পেতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
এছাড়াও, সিএমএসএমই খাতের পণ্য ও সেবার উৎপাদন, আয় ও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধির জন্য এই তহবিল কাজে আসবে বলে মনে করে, ঢাকা চেম্বার। ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঘুরে দাঁড়াতে, ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের চাহিদা মেটাতেও এ তহবিল বেশ সহায়ক হবে।
বিশেষত, সিএমএসএমই’র জন্য এই তহবিলের আওতায় পুনঃঅর্থায়নের ক্ষেত্রে সুদহার কোনোভাবেই ৮ শতাংশের বেশি হবে না। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের সুপারভিশন চার্জ, এমনকি আর্লি সেটেলমেন্ট ফি আরোপ করা যাবে না, যা সিএমএসএমইদের জন্য স্বস্তির বিষয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম