ইন্টারনেট বন্ধ: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইন্টারনেট বন্ধ করে ব্যবসায়িক ক্ষতি করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে চট্টগ্রামের আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অন্তঃত ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেছেন অনলাইনভিত্তিক পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘দূরন্ত বাজার’র মালিক মো. নুর মোহাম্মদ। তিনি নগরীর হালিশহরের বাসিন্দা বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ আছে।
মামলার আবেদনে আসামির তালিকায় আরও আছেন, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. আলী আরাফাত, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান কমিশনার হারুন উর রশীদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মণি, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহায়েল, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারি পরিষদের অর্থ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক ও সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ জাবেদ।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিটকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। ১৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, অনলাইনে অর্ডার নিয়ে দৈনন্দিন পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে বাদীর দৈনিক ব্যবসায়িক লেনদেন প্রায় ২০ লাখ টাকা। গত ১৮ জুলাই আসামিরা অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার উদ্দেশে দেশে গণহত্যা পরিচলনা করার জন্য এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্মম নির্যাতনের উদ্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সারাদেশের ইন্টানেট ও ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ করে দেয়। ফলে বাদীর ব্যবসা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়।
এতে বাদীর ব্যক্তিগতভাবে প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়। এছাড়া দেশের বাণিজ্যিক খাত প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
মামলার আবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে বাদী সাইবার নিরাপত্তা আইনের ১৯ (২), ২২ (২), ২৩ (২), ২৪ (২), ২৫ (২), ২৭ (২), ৩১ (২), ৩৩ (২) ও ৩৬ ধারায় অভিযোগ এনেছেন।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ