সীমান্ত হত্যা ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:২৪
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক জয়ন্তী কুমারসহ সীমান্তে লাগাতার হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, মোদির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, দিল্লির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ফেলানি থেকে জয়ন্ত, মোদির হত্যাকাণ্ড’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটের আমতলা চত্বর থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে শিক্ষার্থীরা সীমান্তে লাগাতার হত্যা, সময়ে-অসময়ে বাঁধ খুলে দেশে বন্যা তৈরি ও বাংলাদেশের প্রতি ভারতের আগ্রাসন রুখে দিতে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার জোর দাবি জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আমানউল্লাহ খান বলেন, ‘সব সীমান্ত হত্যার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। আর একটি লাশও আমরা সীমান্তে দেখতে চাই না। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা বলতে চাই, দেশের মানুষের নাগরিকত্ব ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্রজনতা আপনাদের এই জায়গায় বসিয়েছে। বিগ ব্রাদার বা ভারত বড় রাষ্ট্র— এ বলে আমাদের শহিদদের রক্তের সঙ্গে যেন বেইমানি না করা হয়।’
ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, ‘আমরা খুনি হাসিনাকে তাড়িয়েছি। সে এখন খুনি মোদির সঙ্গে অবস্থান করছে। খুনি হাসিনাকে দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা জনগণ, হাসিনাকে সরিয়ে ড. ইউনুসকে বসিয়েছি। এই সরকারকে অবশ্যই এই ভারতীয় আগ্রাসনের জবাবদিহিতা চাইতে হবে।’
সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘স্বর্ণা দাস ও জয়ন্ত দুজনেই নাবালক। এরা তো সন্ত্রাসী না। তাহলে কেন এদের গুলি করা হলো? পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশ নিরস্ত্র ও নিরপরাধ মানুষকে সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিতে পারে না, যেটা ভারত দীর্ঘদিন ধরে করে যাচ্ছে। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমরা এই সমাবেশ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই, এই নিপীড়নকারী দেশের বিরুদ্ধে যত দ্রুতসম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ভারতের নিপীড়নের যথাযোগ্য বিচার নিশ্চিত করা হোক।’
ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/টিআর