Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোগী মৃত্যুর জেরে চিকিৎসককে মারধর, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সেবা বন্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২৩

কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি এক রোগীর মৃত্যুর জেরে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। এ সময় আইসিইউ, সিসিইউসহ হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ কাজে ফিরবে না সব ধরনের কর্মচারীরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় সিসিউতে ভর্তি থাকা কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকার আবদুল আজিজ নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়।

স্বজনদের অভিযোগ, ব্যথানাশক ইনজেকশন পুশ করার পরই তার মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে হাসপাতালের ভেতরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তার স্বজনেরা। একপর্যায়ে তারা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সজিব কাজিকে মারধর করেন, চালানো হয় ভাঙচুর।

হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাহিদুল মোস্তফা জানিয়েছেন, জটিল রোগি, সংকটাপন্ন রোগিকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পরও কয়েকজন যুবক চিকিৎসককে ব্যাপক মারধর করে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ভাঙচুর চালানো হয় আইসিইউ, সিসিইউসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে। নিয়ে যাওয়া হয় নানা সরঞ্জামও। আহত চিকিৎসককে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা ঘটনার একটি ফুটেজে দেখা যায়, ৪ জন যুবক চিকিৎসক সজীবকে ধরে মারধর করছে। একপর্যায়ে চিকিৎসক জ্ঞান হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। ফুটেজে হামলাকারী ২ জনকে ইতিমধ্যে শনাক্তও করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আসিফ ও মেহেদী নামের এই ২ জন মৃত রোগীর স্বজন না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বুধবার সকাল থেকে চিকিৎসকে মারধর ও লাঞ্ছিত হওয়াকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন চিকিৎসক হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এই ঘটনার সুরাহা না হলে হাসপাতালের আবাসিক রোগীদের কোনো ধরনের সেবা দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেন তারা। এমনকি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রবেশ করে জোরপূর্বক চিকিৎসা কার্যক্রমও বন্ধ করে দেন। জরুরি বিভাগে সেবা সচল থাকলেও বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেটিও বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করছে চিকিৎসক-ওয়ার্ড কর্মীসহ হাসপাতালটির নানা শ্রেণির স্টাফরা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার নুরুল হুদা বলেন, ‘যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে কোন স্টাফই কাজে ফিরবে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা নিশ্চিত করতে হবে। কথায় কথায় চিকিৎসকসহ স্টাফদের উপর হামলা হচ্ছে। তাতে সবাই নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন, তারপর সেবা।’

ওয়ার্ড কর্মীদের নেতা শোভন দাশ বলেন, ‘গেল তিন মাস কোন ধরণের বেতন পাইনি। তারপরও আমরা সেবা নিশ্চিত করেছি। কিন্তু এখন নিজের উপর হামলা হচ্ছে। নিরাপত্তা যদি না থাকে তাহলে কিভাবে কাজ করবো আমরা।’

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কলেজের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (প্রশাসন) ডা. জি আর এম জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানে আলোচনায় বসেছে চিকিৎসক-নার্স ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।’

সারাবাংলা/এমও

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ই-ক্যাবে প্রশাসক নিয়োগ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১৪

সম্পর্কিত খবর