যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র হত্যা: ব্যারিস্টার তানিয়া আমীরের হাইকোর্টে জামিন
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৫২ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:০৯
ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমরান হোসেন নামে এক তরুণকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীরকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মাহমুদুল হক ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার এ মামলায় সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু জামিন পেয়েছিলেন।
ইমরান হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিনসহ ২৯৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর ইমরানের মা কোহিনূর আক্তার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় এ মামলা করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, একাত্তর টিভির সাবেক উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা, সময় টেলিভিশনের তৎকালীন উপদেষ্টা মোরশেদুল ইসলাম, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, একাত্তর টিভির সাবেক বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সাংবাদিক নজরুল কবীর, সময় টেলিভিশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, এটিএন নিউজের সাবেক বার্তাপ্রধান মুন্নী সাহা, একাত্তর টিভির সাবেক সাংবাদিক ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির (জেপি–মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও তার মেয়ে তারিন হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও এ মামলার আসামি।
মামলার বাদী কোহিনূর আক্তার এজাহারে লিখেছেন, তার ছেলে ইমরান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি গত ৫ আগস্ট সকাল ৯টায় যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র ও সাধারণ জনতার আন্দোলনে যান। তখন আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে নস্যাৎ করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপর্যুপরি এলোপাতাড়ি গুলি, পেট্রলবোমা, ককটেল বিস্ফোরণ, হাতবোমা ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ইমরান গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ