‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো হবে’
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:১০
ঢাকা: দ্রুততম সময়ের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি পর্যালোচনা করছে মেডিকেল বোর্ড-এমনটিই জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম গত সাড়ে ৪ বছরে বিভিন্ন সময়ে ৪৭৯ দিন উনি (বেগম খালেদা জিয়া) এভারকেয়ার হাসপাতালে। আমরা উনাকে ২১ আগস্ট রিলিজড করে বাসায় নিয়ে এসেছিলাম, গতকালকে ১২ সেপ্টেম্বর আবার উনাকে ভর্তি করতে হয়েছে।’
‘কথা আসবে আপনারা উনাকে বাইরে নিচ্ছেন না কেন? একজনকে বাইরে নিতে হলে শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন। প্লেনে উঠতে হলে নেগেটিভ প্রেসার সহ্য করার মতো সুস্থতা থাকতে হয়, ফ্লাই করার জন্য নেগেটিভ প্রেসার আছে সেটা কতটুকু? ল্যান্ড করার সময়ে কতটুকু উনি সহ্য করতে পারবেন, সেটি গল্পের বিষয় না, সেটি একাডেমিক, প্রফেশনাল ও সায়েন্টিফিক বিষয়। মেডিকেল বোর্ড সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দেশি-বিদেশী সদস্যরা আলোচনা করছেন এবং শারীরিকভাবে উনি একটু সুস্থ হলেই উনাকে যত দ্রুত বাইরে নেওয়ার যে চেষ্টা একটা উন্নত সেন্টারে ফলোআপের জন্য’-বলেন জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘উনার কিছু রোগের সৃষ্টি হয়েছে যেগুলো সত্যিকার অর্থে বাইরের আধুনিক সেন্টারে নিয়ে দেখানো ছাড়া এবং তাদের (বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের) ওপিনিয়ন নেওয়া ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর নাই। ম্যাডামের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন। উনি আাপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।’
জাহিদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ম্যাডামকে জেলে নেওয়ার পর একাকীত্ব, উনার চিকিৎসা না করানো এবং উনাকে আস্তে আস্তে একদম সংকটাপন্ন একটা অবস্থায় রেখে দেওয়া বিগত সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ। হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিল বিএসএমএমইউতে, সেখানে যে চিকিসা হওয়া উচিত ছিল, তা কোনো কিছুই সঠিকভাবে হয় নাই। যার জন্যই ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, উনাকে কয়েকদিন পরপরই দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে।’
তিনি জানান, ‘মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাতে বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ম্যাডামকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কেবিনে আছে। মেডিকেল বোর্ড উনার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার দিয়েছেন। সেগুলোর কাজ চলছে।’
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ