Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে: জি এম কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৬

ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, জাতি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একটা বিশাল পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। আমাদের জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের নমুনা দেখা যাচ্ছে। সেখানে আমরা রাজনীতি কী করছি, অতীতে কী করেছি এবং ভবিষ্যতে কী করবো তার একটা ধারণা থাকা দরকার। তবে দু:খ হয় কতিপয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পথেই হাঁটছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি বনানী কার্যালয়ে জাতীয় কৃষক পার্টির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিপক্ষ ৯০-এর পর থেকে আমাদেরকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে আমাদের ওপর নির্যাতন ও বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সব সময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম, কখনো কারো দোসর ছিলাম না। আমরা সবসময় জনগণের জন্য কাজ করেছি।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের জন্য কথা বলেছি, জনগণের জন্য কাজ করেছি। যার জন্য দীর্ঘ ৩৭ বছর পরেও জাতীয় পার্টি জনগণের মাঝে টিকে আছে। আমরা যেকোনো সময় যেকোনো নির্বাচনে গেলে ভালো ফল করবো।

তিনি বলেন, পার্লামেন্টে আসার পরে আমাদের সংসদ সদস্যদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। এরশাদ কে স্বৈরাচার বলা হয়েছে। এটা চরম অগণতান্ত্রিক মনোভাব। এরশাদ সাহেবকে যারা স্বৈরাচার বলেন তারা অগণতান্ত্রিক মনোভাব সম্পন্ন মানুষ। জনগণের শাসন মানে জনগণের ইচ্ছায় শাসন। জনগণের ইচ্ছার প্রতি যার শ্রদ্ধা আছে তিনি গণতন্ত্রমনা। এরশাদ সাহেব একজন ভালো রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন, জনগণের ইচ্ছা তিনি রাজনীতিতে থাকবেন। তাই তাকে ভোট দিয়েছে। জনগণ আশা করেছিল, উনি স্বাভাবিক রাজনীতি করবেন। তার রাজনীতিকে যারা বাধা দিয়েছেন তারা গণতন্ত্রমণা নয়। তাই এরশাদকে স্বৈরাচার বলা অগণতান্ত্রিক।

বিজ্ঞাপন

জি এম কাদের বলেন, ২০১৮ থেকে ২৪ পর্যন্ত সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম। যার ফলশ্রুতিতে আমাকে অন্যায়ভাবে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা তখনো জনগণের পক্ষে ছিলাম। ২০২৪ এ বিভিন্ন টালবাহানা করে আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। আমাদের সাথে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার অঙ্গীকার করেও নির্বাচনে তা রক্ষা করা হয়নি। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন হতো না বা নির্বাচন বৈধতা পেত না এই রকম পরিস্থিতি ছিল না।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে মামলার আসামি করা হচ্ছে। এটা মোটেই কাম্য নয়। আমরা জনগণের সঙ্গেই ছিলাম। জনগণ পরিবর্তন আশা করে বুকের রক্ত দিয়ে আওয়ামী সরকারকে উৎখাত করেছে। কতিপয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পথেই হাঁটছে। যা পরিবর্তনের জন্য মোটেই সুখকর নয়। জনগণ এটাকে ভালোভাবে নিচ্ছে না। আগে অনেকেই অনেক কথা বলেননি, এখন কথা বলার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখন দেশে থেকে, দেশের বাইরে থেকে অনেকেই অনেক কথা বলছেন, বা বলার চেষ্টা করছেন। আমরা কিন্তু বরাবরই দেশে থেকে, জনগণের পাশে থেকে জনগণের কথা বলেছি।

জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন চাকলাদারের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মনিরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনইউ

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর