‘অফসিজন তরমুজে’ কৃষকের মুখে হাসি, বাড়ছে আবাদ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:২৫
খুলনা: খুলনায় ঘেরের মাচায় ‘অফসিজন তরমুজ’ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কম খরচে বেশি ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। তাদের সফলতা দেখ অসময়ের তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেকেই। এই তরমুজ চাষ হচ্ছে জেলার কয়রা, রূপসা, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জেলায় প্রায় ৯২৯ হেক্টর জমিতে ‘অফসিজন তরমুজ’ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বটিয়াঘাটা উপজেলায় প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।
কয়রা উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামের কৃষক আবুল হাসান বলেন, ‘প্রথমবারের মতো মাছের ঘেরের পাড়ে তরমুজের চাষ করেছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তরমুজের ওজন পাঁচ কেজি পর্যন্ত হয়েছে।’
বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের আরমান শেখ বলেন, ‘একই জমিতে ওপরের দিকে তরমুজ আর পানিতে মাছ চাষ করছি। বাজার দর ভালো হওয়ায় আগামী বছর আরও বেশি জমিতে তরমুজের চাষ করব।’
বটিয়াঘাটা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘প্রতিবিঘা জমিতে তরমুজ চাষে খরচ ২৫ হাজার টাকা। এ বছর কৃষকরা তরমুজ বেশি লাভে বিক্রি করতে পারছেন, যে কারণে শিক্ষিত বেকার যুবকরা তরমুজ চাষে ঝুঁকে পড়েছে।’
বটিয়াঘাটার কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় তরমুজ চাষ বেড়েছে। গত বছর অফসিজন তরমুজ ৩০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল। এবার সেখানে চাষ হয়েছে ৫৫০ হেক্টর জমিতে। ফলন ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।’
কৃষি গবেষণা বিভাগ খুলনার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরই প্রথম উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ নিয়ে গবেষণা করে পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য এসেছিল। কয়রার আবহাওয়ার জন্য উপযোগী এই দুই জাতের তরমুজ অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। এ ছাড়া জেলার অনান্য উপজেলাগুলো বিভিন্ন জাতের অফসিজন তরমুজ চাষ হয়ে থাকে।’
সারাবাংলা/টিআর