২৪ ঘণ্টায় ৪০১ মিলিমিটার— মৌসুমের রেকর্ড বৃষ্টিতে ডুবছে কক্সবাজার
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৭
ঢাকা: ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টি হয়েছে ৪০১ মিলিমিটার। কেবল কক্সবাজার নয়, সারা দেশেই এ মৌসুমে এত বৃষ্টি আর কোনোদিন হয়নি। দুপুরের পর থেকে শুরু হয়ে পরদিন সকাল পর্যন্ত অব্যাহত প্রবল এই বর্ষণে কক্সবাজারবাসীকে পোহাতে হচ্ছে ব্যাপক দুর্ভোগ।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। এই প্রভাব থাকবে আরও দুয়েকদিন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার ও ঢাকা আবহাওয়া অফিস সূত্রে বৃষ্টিপাতের তথ্য পাওয়া গেছে। সকাল ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন- প্রবল বর্ষণে পাহাড়ে ধস, প্রাণ গেল মা ও ২ মেয়েসহ ছয়জনের
আবহওয়া অধিদফতর থেকে পাঠানো শুক্রবার সকালের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের তথ্য বলছে, সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৭৮ মিলিমিটার। এদিকে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪০১ মিলিমিটার। এ মৌসুমে এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
আবহওয়া অধিদফতরের আবহওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের হিসাব এ মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এর আগে ফেনীতে বন্যার সময় একদিন ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টার হিসাবেই সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
দুদিন আগেই বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছিল। তার প্রভাব কেটে গেলেও নতুন আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তার প্রভাবেই এমন টানা প্রবল বর্ষণের সতর্কবার্তা আগেই জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, দেশের দক্ষিণপূর্ব ও সংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এই লঘুচাপটিও নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাবাংলার কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ওমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার আগে আগে কক্সবাজারে বৃষ্টি শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতভর প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।
এদিকে প্রবল বর্ষণে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কলাতলী ডলফিন মোড়, উপজেলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের অন্তত ২০টি পয়েন্টে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ডিককুল এলাকায় মা ও দুই মেয়ে এবং উখিয়ায় আরও তিনজন নিহতের তথ্য মিলেছে।
সারাবাংলা/টিআর