ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ওমরের নামে হচ্ছে সড়ক
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিক্ষার্থী মো. ওমর বিন আবছারের নামে একটি সড়কের নামকরণের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের নতুন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। এছাড়া চট্টগ্রামে নিহত ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র বাবাকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের আকুবদণ্ডী গ্রামে নিহত ওমর বিন আবছারের বাড়িতে যান দুইদিন আগে দায়িত্ব নেয়া জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। এরপর তিনি নগরীর বহদ্দারহাটে আন্দোলনের সময় নিহত কাঠমিস্ত্রি মো. ফারুক ও মুরাদপুরে নিহত ওমরগণি এমইএস কলেজের ছাত্র ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র বাসায় যান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আকবুদণ্ডী গ্রামে জেলা প্রশাসক নিহত ওমর বিন আবছারের কবর জেয়ারত করেন। এরপর তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করে তাদের সান্ত্বনা দেন। এসময় তিনি ওমর বিন আবছারের কবরে যাবার রাস্তা সংস্কার ও পাশের একটি সড়ক নিহতের নামে নামকরণের ঘোষণা দেন।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজধানীর উত্তরায় বিজয় মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ওমর বিন আবছার। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারের প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
বোয়ালখালী থেকে ফিরে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম নগরীর লালখান বাজার টাংকির পাহাড় এলাকায় নিহত ফারুকের বাসায় যান। এসময় ফারুকের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। জেলা প্রশাসক ফারুকের স্ত্রী সীমা আক্তারকে আর্থিক সহায়তা দেন। এছাড়া দুই সন্তানকে বিনা বেতনে সরকারি স্কুলে পড়ালেখার সুযোগ দেয়ার আশ্বাস দেন।
এদিকে বিকেলে জেলা প্রশাসক নগরীর লালখান বাজারের বাঘঘোনা এলাকায় নিহত ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র বাসায় গিয়ে তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। এসময় শান্ত’র মা কোহিনূর বেগম কয়েকবার মূর্ছা যান। জেলা প্রশাসক শান্ত’র বাবার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন এবং আর্থিক সহায়তা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৬ জুলাই নগরীর মুরাদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফয়সাল আহমেদ শান্ত এবং বহদ্দারহাটে কাঠমিস্ত্রি ফারুক নিহত হন।
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাদি-উর রহিম জাদিদ ও মো. কামরুজ্জামান, জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার মো. ফাহমুন নবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিজাউর রহমান ও সাদিক আরমান এসময় ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ