Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোববার থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা, অস্থিরতা হলে বন্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৪৫

ঢাকা: শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, আগামীকাল (রোববার) দেশের সব তৈরি পোশাকশিল্প কারখানা খোলা থাকবে। কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে সরকার। দেশের অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কেউ যদি কারখানা বন্ধ রাখার অপচেষ্টা করেন, সেটাও মনে রাখা হবে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। তৈরি পোশাক কারখানায় চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিজিএমইএ।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য দেন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, পোশাক খাতের একাধিক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগ সমাধানে শ্রমসংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সব অভিযোগ ও দাবি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তবে শ্রমিকের আন্দোলনে একদমই যে ষড়যন্ত্র নেই, এমনও নয়।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে শ্রমিকদের জন্য কোন প্রক্রিয়ায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা যায়, সে বিষয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। এ ছাড়া গত বছরের শেষ দিকে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের সময় যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শ্রম আইনের মধ্য থেকে ট্রেড ইউনিয়ন করার যতটা সুযোগ আছে, তা নিশ্চিত করবে সরকার। তবে এই সব প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে যারা অস্থিরতা করবে, তাদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার নিরাপত্তার নিশ্চিয়তা দেওয়ায় আগামীকাল সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। তবে কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে আগামী পরশু দিন থেকে সেই কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা (কাজ নেই, বেতন নেই) অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

এদিকে, বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, আগামীকাল থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। তবে দেশ ও শিল্পের স্বার্থে, শ্রমিক ভাইবোনদের কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে, যদি কোন কারখানায় শ্রমিক ভাইবোনেরা কাজ না করেন, কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে যান, কারখানায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হয়, তবে শুধুমাত্র সেই কারখানার মালিক ইচ্ছা করলে আইন অনুযায়ী কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এনইউ

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর