Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘তারা হায়েনার মতো লুকিয়ে আছে, যেকোনো সময় আক্রমণ করবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৪৩

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর ওপর আক্রমণ করা হয়েছে, তার স্ত্রীর ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। একজন নেতা শহীদ হয়েছেন। এসব দেখে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে, তারা হায়েনার মতো লুকিয়ে আছে। যে কোনো সময়ে আক্রমণ করবে। সেই আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে।

শনিবার (সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এ সভা আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে আমরা সবাই বলছি যে, আমরা স্বাধীন হয়েছি, হয়ত স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু এখনো চতুর্দিকে নাগিনীরা ছড়াচ্ছে নিঃশ্বাস। সেই দলের চক্রান্ত বিভিন্নভাবে ছড়াচ্ছে এবং এরা আমাদের বিভক্ত করবার চেষ্টা করছে।’

‘আজকে আমাদের যেটা প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি তা হচ্ছে, যে ঐক্য নিয়ে আমরা ১৬ বছর লড়াই করেছি, সেই ঐক্য অটুট রাখা এবং কোনো মতেই চক্রান্তে পা না দেওয়া। আমি বিএনপির নেতা-কর্মী ভাইদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, তারা শত প্রলোভনের মধ্যে, উসকানির মধ্যে শান্ত থেকেছে এবং এই দেশকে রক্ষা করবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এই অঙ্গীকার করতে চাই, আমরা বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করবার জন্য, প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করবার জন্য সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করব, অতীতেও করেছি আমরা। তবে একটা বিষয়ে সর্তক থাকবে হবে চক্রান্তের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে কেউ যেন বিপথে নিয়ে যেতে না পারে,আমরা সেই পথ না হারাই।’

বিজ্ঞাপন

ফখরুল বলেন, ‘একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার পেয়েছি। এই সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা আকাশচুম্বি। জনগণ মনে করে এই সরকার এমন একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরি করে দেবে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করে এমন একটা জায়গায় আনবে যেন সত্যিকারের অর্থে একটা অর্থবহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘এই ১৬ বছর ধরে এবং এই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদেরকে সকলকে রাষ্ট্রের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ ও ভাতা দিতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। শুধু এখানে বসে কথা বললে, অনুষ্ঠান করলেই হবে না। এই বিষয়গুলো অত্যন্ত জোরের সঙ্গে তুলে ধরতে হবে এবং সরকারকে এসব করতে হবে। একই সঙ্গে ১৬ বছর ধরে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এক লক্ষ ৪৫ হাজার মামলা প্রত্যাহার এবং গুম হওয়ার নেতা-কর্মীদের খুঁজে বের করতে হবে।’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পরিচালনায় স্মরণ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিডিআর বিদ্রোহে নিহত মহাপরিচালক শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিক আহমেদ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর