Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আশুলিয়ায় এখনো বন্ধ ১৬ পোশাক কারখানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০০

ঢাকা: দেশের পোশাক কারখানায় বেশ কিছুদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বেশ কিছু এলাকায় এই অস্থিরতা তৈরি হয়। তবে আশুলিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছিল না। দফায় দফায় বৈঠকের পরও শ্রম পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছিল না। কোনো কারখানায় অস্থিরতা হলে ওই কারখানা অনির্দিষ্টকালের কালের জন্যে বন্ধের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিজিএমইএ। ফলে রোববার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এদিন দুপুর পর্যন্ত বন্ধ আছে ১৬টি কারখানা। এরমধ্যে ৬টি কারখানা বন্ধ রয়েছে শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় (কাজ নেই, বেতন নেই)।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএর তথ্যমতে, আশুলিয়ায় চালু কারখানার সংখ্যা ২৭২টি। শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় বন্ধ কারখানার সংখ্যা ৬টি। স্ববেতনে ছুটি আছে এমন কারখানা চারটি। কারখানা খোলা রাখার পর কাজ বন্ধ ৬টির। আগস্ট মাসের বেতন হয়েছে ২৫৮টি কারখানায়। আর আগস্ট মাসের বেতন হয়নি ১৪টি কারখানায়।

তথ্যমতে, ১৩/১ ধারায় বন্ধ কারখানাগুলো হলো- জেনারেশন নেক্সট, পার্ল গার্মেন্টস কোং লিমিটেড, মাসকট গ্রুপ, মনগো টেক্স, মারমা কম্পোজিট লিমিটেড, জিনজিয়া ব্যাগ এন্ড ক্যাপস লিমিটেড।

প্রসঙ্গত, ১৩/১ ধারায় কোনো কারখানা বন্ধ হওয়া মানে ওই কারখানার শ্রমিকরা কোনো বেতন পাবেন না।

বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের সব পোশাক কারখানা আজ খুব ভালোভাবে চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোদমে কাজ করছে। দুই একটি ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকতে পারে। বিকেলের দিকে পুরো আপডেট জানাতে পারব।

এদিকে শনিবার বিজিএমইএতে পোশাক কারখানার শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায়, কোনো পোশাক কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে আগামী মঙ্গলবার থেকে সেই কারখানা শ্রম আইনের ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

ওই সভা বরাতে শনিবার বিজিএমইএর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আগামীকাল (রোববার) থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। তবে দেশ ও শিল্পের স্বার্থে, শ্রমিক ভাইবোনদের কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে, যদি কোনো কারখানায় শ্রমিক ভাইবোনেরা কাজ না করেন, কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে যান, কারখানায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হয়, তবে শুধুমাত্র সেই কারখানার মালিক ইচ্ছা করলে আইন অনুযায়ী কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ

আশুলিয়া পোশাক কারখানা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর