Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শিল্পাঞ্চলের অস্থিরতা ফ্যাসিবাদের দোসরদের ইঙ্গিতে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:২১

ঢাকা: দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে চলমান অস্থিরতা ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের ইঙ্গিতে’হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইন্ডাষ্ট্রিয়াল বেল্ডগুলোতে যে অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে, সেখানে সুস্পষ্টভাবে ফ্যাসিবাদের দোসরদের ইঙ্গিত আছে। এটা পরিস্কার হয়েছে, বুঝা যাচ্ছে। এই জিনিসগুলো থেকে মনে হচ্ছে যে, একটা চক্রান্ত চলছে।”

তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনাদের কাছে থেকে শুনে-টুনে যা বুঝি যে, সীমান্তের ওপার থেকে কথিত ফ্যাসিবাদী হাসিনার অডিও-টডিও ফাঁস করে দেওয়া হয়, যেগুলোতে বিভ্রান্তিকর খবর থাকে। অন্যদিকে আবার প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে যারা ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু তাদের ওপরে অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হচ্ছে, যেটা একেবারে টোটালি বাকাওয়াজ। এটা আমরা শুধু নয়, ভারত থেকে যে সমস্ত সাংবাদিকরা এসেছিলেন তারা পর্যন্ত দেখে গেছেন। তারা রিপোর্ট করেছেন, যেটা বলা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে, রাজনৈতিক কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা সবসময় হয়, হতেই পারে। সুতরাং চক্রান্তটা ওই জায়গায়। আমরা চক্রান্ত পছন্দও করি না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আমাদের যেটা সবচেয়ে প্রয়োজন এই মুহূর্তে যে, ধৈর‌্য ধরে সহনশীলতার সঙ্গে যে, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা যেন কাজ করতে পারে, তাদেরকে কাজ করতে দিন। অতিদ্রুত সংস্কার কাজে তারা হাত দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই কাজগুলো দরকার।”

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এই কাজগুলো অতিদ্রুত শেষ করে একটা নির্বাচনের দিকে যাওয়া, যে নির্বাচনটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এবং জনগণ অবাধ ‍সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোট তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। তারপরই বাকি কাজগুলো তারা সম্পন্ন করবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিস্কার করে বলেছি, নির্বাচন কেন্দ্রিক যে সংস্কারগুলো- অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেমন, আমাদের অনেককেই শাস্তি দিয়ে দিয়েছে। আমাদের শাস্তি দেওয়ায় দুই বছর তো নির্বাচনে করতে পারব না। সেটার সংস্কার হওয়া প্রয়োজন তো। আর অন্যান্য সংস্কার যেগুলো আছে, সেটা যে সরকার জনগণের ভোটে আসবে তারা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে, প্রশাসন এখন পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে পারে নাই। এই ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে না পারার প্রধান কারণ হচ্ছে, এত ডিপ রুটেড চলে গিয়েছিল ফ্যাসিবাদ, ডিপ স্টেট তৈরি হয়েছিল যে, সেখান থেকে ফ্যাসিবাদী বিরোধী লোকজনকে খুঁজে বের করা কঠিন হয়েছে। এখানে আমাদের যেটা প্রয়োজন ছিল ঐক্য অটুট রাখা, ধৈর্য রাখা, এই সরকারের সমস্ত কাজকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা।’

বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার। এটা করেই কিন্তু যারা দুষ্টু, যারা সবসময় ফায়দা লুটতে চায়, তারা বলে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ তুলনা হতেই পারে না। কারণ, আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক দল নয়, গণবিরোধী একটা দল। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গণতান্ত্রিক মানুষকে হত্যাকারী একটি দল। আর বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্র জীবন্ত করার দল।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর