ঝড়বৃষ্টিতে রাজপথে ভোগান্তি, নাকাল নগরবাসী
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৫০
ঢাকা: অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি, পায়ের নিচেও পানি। সড়কে নেই কোনো যানবাহন। যদি কোনো গাড়ির দেখা মেলে তাও যেন চলে না। দুই দিনের বৃষ্টিতে রাজধানীর ঢাকার সড়কগুলোর পরিস্থিতি এখন এমন। যান ও জলজটে একাকার রাজধানীর প্রায় প্রতিটি সড়ক। মূল সড়কে লেগে থাকা যানজট পৌঁছেছে অলি-গলিতে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ১২ সেপ্টেম্বর বঙ্গোপসাগরে যে নিম্মচাপের সৃষ্টি হয়েছিলো সেটি এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে মোড় নিয়েছে। কিন্তু তার যাওয়ার গতি এতো ধীর যে এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। আর সে বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবীরা।
শুক্র, শনি ছুটি থাকলেও রোববার সকালে যারা অফিসের জন্য বেরিয়েছেন তাদের ভোগান্তি ছিলো সবচেয়ে বেশি। সকালে বৃষ্টি থাকায় অনেককেই দেরি করে পৌঁছাতে হয় কর্মস্থলে। বিকেলে, সন্ধ্যায় ফেরার পথেও একইরকম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সকালে এক ঘণ্টা লেট। অফিস শেষ করে দেরি করে বের হয়েছি, এখনো বৃষ্টি। রাস্তায় নেই কোনো গাড়ি।
বেসরকারি ব্যাংক কর্মর্কতা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘অফিস শেষ করে ৬টায় উঠেছি বাসে। শনির আখড়া কতক্ষণে পৌঁছাবো জানি না।‘
প্রেসক্লাব, পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ি পুরো বিকাল ছিলো জ্যামে ঠাঁসা। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্তও জ্যাম দেখা গেছে এসব সড়কে। মূল সড়কের জ্যাম গিয়ে ঠেকেছে অলি-গলিতেও। গোপীবাগ, হাটখোলা, ওয়ারি এলাকার প্রতিটি এলাকা ছিলো জ্যামপূর্ণ।
এদিকে বৃষ্টিতে মৌচাক মালিবাগে পানি জমে থাকায় আরো ভোগান্তি বাড়িয়েছে। গাড়ি চালকরা বলছেন, একাধিকবার গাড়ি বিকল হয়েছে। রমজান গাড়ির চালক সজল বলেন, ‘মগবাজারে একবার স্টার্ট বন্ধ হয়েছে। ধাক্কা মেরে সাইড করে এক ঘণ্টা বসে ঠিক করার পর শান্তিনগর এসে আবারও খারাপ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বিকল হতে দেখা গেছে সিএনজি অটোরিকশা। এসব যানবাহনে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।’
চালকরা জানিয়েছেন, হঠাৎ ইঞ্জিন পানিতে ডুবে যাওয়ায় স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে বৃষ্টির সুযোগে রিকশা চালকেরা বেশি ভাড়া হাঁকাচ্ছে বলে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ। সেগুনবাগিচা থেকে মৌচাকে ভাড়া ৫০ টাকা হলেও ৮০ টাকা চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন একজন যাত্রী। এমন অভিযোগ অনেকেরই।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে চলে গেছে। কিন্তু ধীরগতিতে অগ্রসর হওয়ায় এখনো বরিশাল, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা অঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা রয়ে গেছে। সংস্থাটি বলছে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃষ্টির তীব্রতা কমে আসবে।
সারাবাংলা/জেআর/এমও