Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিশু আদালত হবে শিশুবান্ধব : দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি


২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:৪৯

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেছেন, ‘কোনো শিশুই খারাপ হয়ে জন্মায় না। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে খারাপ হতে থাকে। এক্ষেত্রে একজন প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীর মতো শিশুর অপরাধ বিবেচনা করলে হবে না।’

তিনি বলেন, ‘শিশু আদালত হবে বিশেষ সাজসজ্জা, আসন বিন্যাসে শিশুবান্ধব।’

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সুপ্রিমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে শিশুদের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে ইউনিসেফের এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, গতানুগতিক ধারণা বাদ দিয়ে শিশু আদালতকে শিশু আদালত হিসেবেই দেখতে হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধির মত শিশু অপরাধীকে বিবেচনা করলে হবে না।

তিনি বলেন, আসলে শিশুদের বেলায় ফৌজদারি রেকর্ড বা কারাগার রাখা উচিৎ না। আর এ বিষয়টি আইনটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, ২৭ বছর আগে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে সাক্ষর করে। সারাবিশ্বে শিশু অধিকার রক্ষায় এই সনদটি একটি মাইল ফলক। এই সনদের আলোকেই ২০১৩ সালে বাংলাদেশ শিশু আইন প্রণয়ন করে।

দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি রায় দিয়েছে। এসব রায়ের মধ্যদিয়ে আইনটির সামাজিক বাস্তবতা, আইনের সীমানা এবং আইনটির সাংঘর্ষিক দিকগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

শিশু অধিকার রক্ষায় ঘোষিত এসব রায়ে যেসব সুপারিশ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আলোকেই দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আমাদের ছেলেমেয়েদের চেয়েও পরিবারহীন পথশিশুদের পরম যত্ন ও অনুপ্রেরণা দেওয়াটা জরুরি। যেসব প্রতিকূলতার মধ্যে তারা বেড়ে উঠছে, আমরা যদি তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি তাহলে আগামীতে তারা সুন্দর একটি পৃথিবী গড়ে তুলবে।

বিজ্ঞাপন

দেশের ১৬টি জেলায় শিশুবান্ধব শিশু আদালতের অবকাঠামো গড়ে তুলতে কাজ করছে। এটা দেখে আনন্দিত। ইউনিসেফ চলতি ডিসেম্বর দেশের ৬৯টি শিশু আদালতে তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক অফিস গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে। এই সহযোগিতা ইউনিসেফ অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউনিসেফের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয় যা ডিসেম্বর ৩১ তারিখে শেষ হবে। কিন্ত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর‌্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধ করে নতুন এ চুক্তি স্বাক্ষর হয় আজ।

সুপ্রিমকোর্টের পক্ষে রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. জাকির হোসেন ও ইউনিসেফের পক্ষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানের আরও বক্তব্য রাখেন শিশু বিভাগের বিচারপতি ইমান আলী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমদু হোসেন, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপ-প্রতিনিধি মিস সীমা সেনগুপ্তসহ সুপ্রিমকোর্টের কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর