ঢাকা: সবার জন্য বৈষম্যহীন নগর চেয়েছে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক)। একইসঙ্গে পণ্যের দাম কমানোর দাবি করেছেন তারা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে তোফাজ্জাল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে আসা সমন্বয়করা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
ঢাকা নগরের দরিদ্র মানুষের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফাতেমা বেগম। তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের কাছে আমরা দরিদ্রদের বাসস্থানের জন্য ১২০০ একর খাসজমি চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকার নগর দরিদ্রদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করেনি অথচ রোহিঙ্গদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে। দেশের মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমেনি বরং জেল থেকে দাগি সন্ত্রাসীদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, এতে করে আমরা উদ্বিগ্ন।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী নগরায়ন বেড়েই চলেছে এবং নগরীগুলো অর্থনীতির রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু এবং জাতির সামাজিক কাঠামো তৈরির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে এই সুবিধাগুলোর পাশাপাশি, নগর এলাকায় বৈষম্য, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং সামাজিক বঞ্চনা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে যা কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয়। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে পাওয়া নতুন বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্যই হলো, সমাজ থেকে সবপ্রকার বৈষম্য ও বঞ্চনা দূর করা। আমাদের সবার প্রত্যাশা বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তী সরকার শহর ও নগরের ধনী ও বস্তিবাসীর মধ্যে যে অন্যায্য বৈষম্য বিদ্যমান তা দূর করবে এবং সবার জন্য একটি বৈষম্যহীন নগর তৈরি করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বারসিকের পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাস, খন্দকার রেবেকা সানইয়াত, মো. জাহাঙ্গীর আলম, বারসিকের নির্বাহী পরিচালক ডা. লেলিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা বেগমসহ অনেকে।