ফজলুল হক হলে তরুণকে পিটিয়ে হত্যা: ৩ ঢাবি শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:০৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘চোর সন্দেহে’ এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশে সোপর্দ করা তিন শিক্ষার্থী হলেন— পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের জালাল আহমেদ এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের মোহাম্মদ সুমন ও মোত্তাকিন সাকিন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফজলুল হক হল থেকে জালাল ও সুমন এবং শহিদ মিনার এলাকা থেকে মোত্তাকিনকে আটক করা হয়। এর আগে ওই তরুণকে পেটানোর ভিডিও দেখে শনাক্ত করা হয় তাদের।
আরও পড়ুন- ঢাবির হলে চোর সন্দেহে যুবককে ‘পিটিয়ে হত্যা’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ফজলুল হক হলে মারধরের ঘটনায় জালাল, সুমন ও মোত্তাকিনকে আটক করে (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪টায় শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আটক তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে জালাল মিয়া ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তিনি গত ১৬ জুলাই ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
জালাল বলেন, আরও একমাস আগেই তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছেলিনে। তবে ছোট ভাই ও রুমমেটদের অনুরোধে আন্দোলন নিয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জানতে শুরুতেই পদত্যাগ করেননি তিনি।
এর আগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একই হলে তোফাজ্জল নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টা-৯টার দিকে দিকে ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে আটক করে গেস্টরুমে নিয়ে যান। রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানে তাকে দফায় দফায় মারধর করা হয়। এর মধ্যে তাকে ক্যানটিনে বসিয়ে ভাত খাওয়ানো হয় এবং ওই সময়ের ছবিও তোলা হয়। এরপর আবার তাকে মারধর করা হয়।
রাত ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার ছবি ও তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার অজ্ঞতনামা কয়েকজনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় ঢাবি প্রশাসনের পক্ষে মামলা করেন এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।
সারাবাংলা/আরআইআর/টিআর