Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিম-মুরগি বিক্রি হচ্ছে না নির্ধারিত দামে, সবজির বাজারও চড়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০৩

ঢাকা: মধ্যবিত্তের আমিষের অন্যতম চাহিদা পূরণ করে ফার্মের মুরগির ডিম ও ব্রয়লার মুরগি। এজন্য ডিম ও মুরগির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর খুচরা পর্যায়ে ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে খুচরা পর্যায়ে বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও, শ্যামলী ও কল্যাণপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাণিসম্পদ অধিদফতর খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দর নির্ধারণ করে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, সে হিসেবে প্রতি ডজনের দাম দাঁড়ায় প্রায় ১৪৩ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা ও সোনালী জাতের মুরগির দাম ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

কিন্তু বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামী ডিম সরকার কর্তৃক বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে ডজন প্রতি ২০ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১০ টাকা বেশি দামে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালী জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএনপি বাজারে মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ রুমান মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, সরকার দাম বেঁধে দিছে তবে সব সময় একই দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়। তার পরও আমরা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের কাছাকাছি দামে বিক্রি করছি। আজ ব্রয়লার ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালী জাতের মুরগির দাম ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এদিন লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

এদিন শ্যামলীর ডিম বিক্রেতা আহাদ মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ডিমের দাম সরকার বেঁধে দিলেও আমাদের পাইকারি পর্যায়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করছি। আজ ফার্মের মুরগির ডিম ১৬০-১৬৫ টাকা ডজন দরে বিক্রি করছি।

বিজ্ঞাপন

দাম বেড়েছে করলা, বেগুন, বরবটি-ধনিয়া পাতার:

বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বেগুন, বরবটি, ধনিয়া পাতা, করলা, শসাসহ আরও কয়েকটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শ্যামলীর কাঁচাবাজারে কথা হয় সুজন মিয়া নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের মতোই। তবে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। সরকারের কথা ব্যবসায়ীরা থোরাই কেয়ার করে।

সবজি ব্যবসায়ীরাও বলছেন, কাঁচা বাজারে কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে।

করলা ১১০- ১২০ টাকা, উস্তা ৯০-১০০ টাকা, গোল বেগুন (কালো) ১০০-১১০, লম্বা বেগুন ৯০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৭০, বরবটি ৯০ টাকা, পটল, ঢেঁড়স, শসা ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ১৬০-১৭০, গাজর ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা, মিস্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। জালি কুমড়া (প্রতি পিস) ৫০-৬০ টাকা, পাতি লাউ (মাঝারি আকারের প্রতি পিস) ৫০-৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি আঁটি লাউশাক ও পুঁইশাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। লেবু (মাঝারি আকারের) ২০-৩০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা, রসুন ২২০-২৪০ টাকা, আদা ৩০০-৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মাছ-মাংসের দামে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই:

বাজারে দেড় কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের রুই মাছ ৩৫০-৩৮০ টাকা কেজি, পাবদা ৪০-৪৫০ টাকা কেজি, সিং ৪০০-৪৫০ টাকা, গুলশা ৭৫০-৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০-৬০০ টাকা, চিংড়ি মাঝারি ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে হতে দেখা যায়। মাঝারি সাইজের তেলাপিয়া, পাঙাস, সিলভার কার্প ও চাষের কই কেজিপ্রতি ২২০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিন এক কেজি বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ ১৬০০-২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

ফার্মের মুরগির বাদামী ডিম ১৬০-১৬৫ টাকা ডজন এবং ফার্মের মুরগির সাদা ডিম ১৫৫-১৬০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। এদিন হাঁসের ডিম ৮০ টাকা হালি এবং কোয়েল পাখির ডিম ৫০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হয়।

বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০-৭৮০ টাকা এবং খাসি ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছ মাংসসহ সব ধরনের শাক-সবজির দাম বাজারভেদে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কম বেশি হতে পারে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর