‘শিক্ষার্থীসহ নাগরিকরা সম্পৃক্ত হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব’
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০০
ঢাকা: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীসহ নাগরিকদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। কারণ তাদের নিয়ে কাজ করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মিরপুর, সেকশন-৬ এর অন্তর্গত বি ব্লক এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চলমান ডিএনসিসির সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তদারকি টিম প্রত্যেকটি অঞ্চলে পরিচালিত কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকি করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।
মশক কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের উদ্দেশে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন উৎসগুলো পরিচ্ছন্ন করার মাধ্যমে ধ্বংস করতে হবে। বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তদারকি টিম প্রতিটি অঞ্চলে পরিচালিত কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকি করছে। শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
নগরবাসীর উদ্দেশে প্রশাসক মাহমুদুল হাসান বলেন, আমাদের কর্মীরা বাসাবাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করে ও ওষুধ ছিটায়। কিন্তু বাসাবাড়ির ভেতরে আমাদের কর্মীদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হয় না। তাই নিজেদের বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচির তৃতীয় দিনে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই একযোগে জনসচেতনতা ও মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। শিক্ষার্থীরাও ডিএনসিসির এই সপ্তাহব্যাপী জনসচেতনতা কার্যক্রমে অংশ নেন।
ডিএনসিসি জানায়, এ কার্যক্রম একযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রমে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর ঠিকানা সংগ্রহ করে এ সব ঠিকানার আশপাশে ফগিং ও লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও বছরব্যাপী স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাওয়া ডেঙ্গু রোগীর ঠিকানায় সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা টেলিফোনে সরাসরি যোগাযোগ করে সচেতনতামূলক পরামর্শ ও কীটনাশক প্রয়োগ নিশ্চিত করছেন। কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি বছরব্যাপী এডিস মশার নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কিত বার্তা সম্বলিত লিফলেট ও ষ্টিকার বিতরণ, মাইকিং, র্যালী এবং অ্যাডভোকেসি সভার আয়োজন করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর