Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সংবিধান পুনর্লিখন ও ছাত্ররাজনীতি বন্ধে হাত বাড়াবেন না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫০

ঢাকা: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ড. ইউনূস সাহেব কারও স্বার্থ রক্ষা করতে এসছেন। এ জন্য তিনি সংবিধান পুনর্লিখন ও ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে চাইছেন। সংবিধান পুনর্লিখন ও ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার দিকে হাত বাড়াবেন না।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সিপিবি আয়োজিত সমাবেশে দলটির সভাপতি এসব কথা বলেন।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার; জনজীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনা; সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা; পাচারের টাকা ফেরত ও খেলাপী ঋণ আদায়; ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য, মন্দির-মাজার এবং নারীর ওপর হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি; সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং পাহাড়ে হামলা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সিপিবি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

শাহ আলম বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সংস্কারের কার্যক্রম শুরু ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের মধ্য দিয়ে জনগণের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সময়ের দাবি।’ এই কাজে দৃশ্যমান ভূমিকা পালনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারের ৪০দিন পার হলেও এখনো মধুচন্দ্রিমা কেটেছে বলে মনে হচ্ছে না। তারা এখনো নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারল না। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়ে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করতে পারেনি। দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি থেকে দেশকে মুক্ত করে ভয়ের রাজত্বের অবসান ঘটাতে দৃশ্যমান রূপরেখাও সামনে আনতে পারেনি। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের বিষয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

রুহিন হোসেন সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকার আপনি কী করছেন?, কী করতে চান? এসব কথা দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, রাজনীতিবিদরা জানেন না। তাহলে কাদের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাচ্ছে? দেশবাসী তা জানতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে মনে রাখতে হবে, তারা একটি অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন করবে। একইসঙ্গে দীর্ঘদিনের জমে থাকা স্বৈরাচারী ব্যবস্থার উচ্ছেদের জন্য বেশকিছু জায়গায় সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব উত্থাপন করে, পারলে ওইসব কাজের সূচনাও করবে। বাকি কাজ সম্পন্ন করবে নির্বাচিত সরকার। এ সব কাজ করতে হবে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে। এসব কাজে জনগণের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য জনজীবনের শান্তি ফিরিয়ে আনাকেই অন্যতম কাজ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।’

সমাবেশে নেতারা বলেন, জনগণ ভালো নেই, চালের দাম কমেনি। দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই র্দুবল। দুর্নীতি, লুটপাট আজ এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দুর্নীতি ও লুটপাটের যেসব খবর বেরুচ্ছে তা দেশবাসীর কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। কিন্তু চলমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীনরা নিজেদের স্বার্থে আইন করে, কমিশন ভোগ করে, চাঁদাবাজি করেই তারা তাদের অর্থ সম্পদ গড়ে তুলেছে, টাকা পাচার করেছে। এরা দেশকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে নিজেদের আবাসভূমি গড়ে তুলেছেন।

তারা বলেন, আজ তাই এমন নীতি করতে হবে, যাতে উৎপাদনের সাথে জড়িত নয়, এমন জনগোষ্ঠী কখনোই অর্থ সম্পদের মালিক হতে পারবে না। তাহলে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা যাবে। এদেশে কমিউনিস্টরা এ জন্যই দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে চলেছে।

বিজ্ঞাপন

গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে এগিয়ে আসতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে। নেতারা জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে হতাহতদের প্রকৃত তালিকা তৈরি, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে ভয় ও অপমানের রাজনীতির অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ সংবিধান পুনর্লিখন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর