Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএনপির কার্যালয় হামলার মামলায় সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪০

বরিশাল: বরিশালে জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বরিশালের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার জয়নাল আবেদীন ভূঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আদালতে নেওয়ার খবরে সেখানে জড়ো হতে থাকেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ মিলেছে।

এর আগে ঢাকায় বারিধারার নিজ বাসভবন থেকে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করে জাহিদ ফারুককে। সোমবার ভোরে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার ভোরে ঢাকা থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে বরিশাল নিয়ে আসা হয়। বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

গত ৪ আগস্ট বরিশালে জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগে জাহিদ ফারুক শামীমকে প্রধান আসামি করে গত ২৩ আগস্ট কোতোয়ালি থানায় মামলা করে বিএনপি। মামলায় ৩৮১ জনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ছয় থেকে সাত শ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ২টার পর থেকে জাহিদ ফারুকের অনুসারীরা আদালতপাড়ায় হাজির হতে শুরু করেন। এ খবর পেয়ে যুবদলের নেতাকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত হন। তারা জাহিদ ফারুকের গ্রেফতারের খবরে সেখানে মিষ্টি বিতরণও করেন।

পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালতপাড়ায় হট্টগোল শুরু হয়। শাহরিয়ার রাজীব নামে একজনের ওপর হামলা চালান যুবদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে সটকে পড়েন। কিছুক্ষণ পর ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুব শ্রমিক লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীনকেও বেদম মারধর করা হয়।

খবর পেয়ে জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে অনু ও আশরাফুলের নেতৃত্বে শতাধিক নারী-পুরুষ মিছিল নিয়ে আদালতপাড়ায় প্রবেশ করেন। এ সময় যুবদলের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে সরে যান। কিছুক্ষণ পর দুটি ট্রাকে করে বহু নারী-পুরুষ জয়নালের ছেলেদের সঙ্গে যোগ দেন। তারা আদালতপাড়ায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ও হামলাকারীদের খুঁজতে থাকেন।

কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বলেন, বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকেসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন তিনি। সেই জামিনের কাগজ আদালতে জমা দেওয়ার জন্য বিকেল ৪টার দিকে জেলা জজ আদালতে গেলে বিএনপি সমর্থিত একদল তরুণ তার ওপর হামলে পড়েন। তার কাছে থাকা টাকা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে তিনি আদালতের ভেতরে আশ্রয় নেন।

জয়নাল আবেদীন বলেন, আদালত মানুষের নিরাপত্তার জায়গা। সেখানে যদি এভাবে হামলা হয়, তাহলে মানুষ যাবে কোথায়?

হামলার বিষয়ে জানতে যুবদলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

সারাবাংলা/টিআর

জাহিদ ফারুক বরিশাল সাবেক প্রতিমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর