অপহরণ-গুম: যশোরের সাবেক এসপি-ওসির বিরুদ্ধে মামলা
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১৮
যশোর: যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ার তানভীর রহমান অন্তরকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) আশরাফুল ইসলাম ও কোতয়ালি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার অপহৃত অন্তরের মা ফাতেমা বেগম আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কোতয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আরও আটজন রয়েছেন পুলিশ সদস্য। তারা হলেন— তৎকালীন এসআই মিরাজ হোসেন, এসআই মনির হোসেন, এসআই আনসারুল, এসআই আমিনুর রহমান, কনস্টেবল খাইরুল, কনস্টেবল সালাউদ্দীন, কনস্টেবল হাফিজুল ও কনস্টেবল ড্রাইভার আবু মুসা।
বাকি আসামিরা হলেন— শহরের রায়পাড়া এলাকার নুর মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, মণিরামপুর উপজেলার শমসের বাগ গ্রামের মৃত এলাহী বক্সের ছেলে আবুল হোসেন ও বাঘারপাড়া উপজেলার ধুপখালী গ্রামের মৃত কহেল জোয়ারদারের ছেলে আবু বক্কর।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তানভীর রহমান অন্তর রেলগেট পশ্চিমপাড়ার বিল্লালের মাঠে ভবন নির্মাণের জন্য রাখা রড-সিমেন্টসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রাতে দেখাশোনার কাজ করতেন। অন্তরের মামা শ্রাবণও ওই এলাকায় নাইট ডিউটি করতেন। ২০২০ সালের ৭ মে রাত ৩টার দিকে অন্তর ও শ্রাবণ সেহেরি খাওয়ার জন্য বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় এসআই মিরাজ হোসেন সেখানে হাজির হয়ে অন্তর ও শাওনকে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে ‘এসপি স্যার’ নিয়ে যেতে বলেছেন বলে তুলে নিয়ে যান। পরে ফাতেমা বেগমসহ স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে অন্তর ও শ্রাবণকে খোঁজাখুঁজি করেও উদ্ধারে ব্যর্থ হন।
কয়েক দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও দুজনের সন্ধান পাননি স্বজনরা। কয়েকদিন পর তারা জানতে পারেন, শ্রাবণকে একটি মামলায় নড়াইলের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কিন্তু অন্তরের খোঁজ আর পাওয়া যায়নি।
আসামিরা অন্তরকে অপহরণ করে লাশ গুম করেন বলে তার মা মামলায় উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় অপহরণের শিকার অন্তরের মা কোতয়ালি থানায় একটি জিডি করেছিলেন। মামলা করার সাহস পাননি তিনি। ঘটনার চার বছর পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
সারাবাংলা/টিআর
অপহরণ এসপির বিরুদ্ধে মামলা ওসির বিরুদ্ধে মামলা গুম গুমের অভিযোগ যশোর