প্রভাষক উদয় হত্যা মামলা: ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৪৭
যশোর: মণিরামপুরের যুবলীগ নেতা প্রভাষক উদয় শংকর হত্যা মামলায় পূর্ববাংলা কমিউস্টি পার্টির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সাইফুর আলম ওরফে আলম মেম্বরসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিরুল ইসলাম।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন— মণিরামপুরের পাঁচাকড়ি গ্রামের হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে পবিত্র বিশ্বাস, পাঁচাকড়ি গ্রমের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে রাসেল গাজী, অভয়নগরের সরখোলা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান হবির ছেলে আল আমিন মোল্যা, শহিদুল ইসলামের ছেলে শামীম আহম্মেদ, সরখোলা গ্রামের বসিন্দা ও বুইকারাগ্রামের হান্নান মোল্যার ছেলে সুমন মোল্যা এবং দত্তগাতী গ্রামের কাশেম মোল্যার ছেলে আলম মেম্বর।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, পাঁচাকড়ি গ্রমের উদয় শংকর বিশ্বাস ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, টেকেরঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ছিলেন। ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের আরোহীরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যান।
দ্রুত তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উদয়। এ ঘটনায় তার মা ছবি রাণী বিশ্বাস অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
আলোচিত মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে ডিবি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। তদন্ত সূত্রে জানা যায়, এলাকার রাজনৈতিক দলাদলি ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে প্রভাষক উদয় শংকরের সঙ্গে আসামি পবিত্র বিশ্বাসের বিরোধ চলছিল। এর জেরে উদয়কে হত্যার পরিকল্পনা করেন পবিত্র বিশ্বাস। হত্যাকাণ্ডটি ঘটে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম নেতা সাইফুল আলম মেম্বরের নির্দেশনায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডে ছয়জনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগপত্রে তাদের সবাইকে অভিযুক্ত দেখানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় বিভিন্ন সময় আটক পরিতোষ বিশ্বাস, উত্তম দাস ও আনিসুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর