অভিযোগ-পরামর্শ জানাতে সুপ্রিম কোর্টে হেল্পলাইন চালু
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:১৫
ঢাকা: বিচারপ্রার্থী জনগণের সেবা সহজ করতে এবং সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এর অংশ হিসেবে সেবা গ্রহণকারীদের অভিযোগ ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি হেল্পলাইন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ০১৩১৬-১৫৪২১৬ নম্বরটি হেল্পলাইন নম্বর হিসেবে চালু থাকবে, যে নম্বর ব্যবহার করে যে কেউ অভিযোগ বা পরামর্শ জানাতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সহকারী রেজিস্ট্রার থেকে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের কনফারেন্স কক্ষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর এ নির্দেশনা দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রধান বিচারপতির দেওয়া নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা নিশ্চিত করা, দায়িত্ব পালনের সময় কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বর্জন, সেবা দিতে অহেতুক দেরি না করা, সেবাগ্রহীতার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ প্রদর্শন, প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন শেষ করা, কর্মকর্তাদের প্রতিদিন শাখা পরিদর্শন, ব্যতিক্রমহীনভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।
বিশেষ করে প্রতিটি শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে তাদের শাখার কার্যক্রম সম্পর্কে নিজ নিজ অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারকে নিয়মিত অবহিত করতে বলেন প্রধান বিচারপতি। অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারদের আবার চার সপ্তাহ পর পর তাদের মনিটরিং কার্যক্রম সম্পর্কে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার ও রেজিস্ট্রারকে (বিচার) প্রতিবেদন দিতে প্রধান বিচারপতি নির্দেশনা দিয়েছেন।
বক্তব্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে আগত বিচারপ্রার্থীদের উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের দাফতরিক কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট রুলস, বিভিন্ন সময়ে জারি করা প্র্যাকটিস ডিরেকশন, সার্কুলার ও অন্যান্য নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
বিচার সেবাপ্রত্যাশী জনসাধারণ ও তাদের নিযুক্ত আইনজীবীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও উন্নত সেবা দেওয়ার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট সেবা প্রদানের উৎকর্ষতায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ তৈরি করবে— প্রধান বিচারপতি এমন আশাবাদও জানান।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর