‘চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেকে পরিবহণ খাতকে বাঁচাতে হবে’
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৫
ঢাকা: চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেক পরিবহণ খাতকে বাঁচাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)।
তিনি বলেন, পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের বাঁচাতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। পরিবহণ মালিকদের দাবি, সড়কে চাঁদার জন্য গণপরিবহণের ভাড়া বেড়ে যায়। গণপরিবহণের ড্রাইভার ও হেলপার নিয়োগ দেয় শ্রমিক ইউনিয়ন, মালিকদের কর্তত্ব থাকে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেকে মুক্তি দিতে হবে। পরিবহণ খাতের সংস্কারও জরুরি হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মোটর শ্রমিক পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন, এটা আল্লাহর রহমত। এ দেশের ছাত্র-জনতা গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় আন্দোলনের নজির নেই। আন্দোলনে এত নির্যাতন আর হত্যাযজ্ঞের ইতিহাসও নেই। আমাদের বীর সন্তানরা জীবন দিয়ে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করেছে, যা আমরা পারিনি। শেখ হাসিনার পতন না হলে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কায়েম হতো। দেশে মাত্র একটি দলই থাকত।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিকিৎসার নামে সিএমএইচে আটক করা হয়। তার নির্দেশে আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেই। আমিসহ জাতীয় পার্টির ২৭০ জন নির্বাচন বর্জন করি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের সংসদে আমি যাইনি। মঞ্জুর হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাপে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সংসদে যেতে বাধ্য করে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি না গেলেও উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাসহ বেশ কিছু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।
জি এম কাদের বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রায় সব দলই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আমরাও সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি। আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর