প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠিত
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:২৮
ঢাকা: ‘প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস (পার)’ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১০০ জনেরও বেশি নাগরিক সমাজের নেতাকর্মী, প্রান্তিক সম্প্রদায়ের নেতা, সাবেক নীতিনির্ধারক ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ‘পার’ কর্মসূচির দলিত, ঋষি এবং প্রান্তিক যুব ও নারী নেতারা পার কর্মসূচির বিষয় যেমন পরিকল্পিত নগরায়ন, পরিবেশ দূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নদী দূষণ প্রতিরোধ ও দলিত সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নাগরিক সমাজ, সরকার এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে ক্রস-সেক্টরাল অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় তাদের নাগরিক-নেতৃত্বাধীন অ্যাডভোকেসি অর্জনগুলো উপস্থাপন করেন। প্রকল্প শেষে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য তাদের পরিকল্পনাগুলো অবগত করেন।
গত ছয় বছরে পার বাস্তবায়নকারী অংশীদাররা সফলভাবে ৩০ হাজারেরও বেশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষকে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমে যুক্ত করেছে, যা বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, পরিকল্পিত নগরায়ন, ঋষি ও দলিত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্তি, নদী দূষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সুনির্দিষ্ট সুপারিশগুলোর রোডম্যাপ সাম্প্রতিক সময়ে প্রান্তিক ও নাগরিক সমাজ নীতিনির্ধারকদের নিকট উপস্থাপন করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমি আপনাদের অর্জনকে সাধুবাদ জানাই এবং বিশ্বাস করি, আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করার জন্য সুশীল সমাজের এ রকম আরও অনেক অনুরূপ প্রয়োজন।
এ ছাড়াও ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ডিআরজি ডিরেক্টর অ্যালেনা তানজি বলেন, প্রকল্পটি শেষ হলেও বিভিন্ন অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা যে পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেছি তা সম্ভবত বাংলাদেশের উন্নয়নে গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য সমবসময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, আমরা প্রান্তিক নাগরিক, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন সংস্থা, স্থানীয় সরকারকে একত্রিত করার জন্য মানবাধিকার, প্রগতিশীল সংস্কারের পক্ষে এবং সব মানুষের জন্য বৃহত্তর সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করার জন্য পারের এই মডেলটি অব্যাহত রাখতে পারব।
এ ছাড়াও সমাপী অনুষ্ঠানের অতিথি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পার-এর অগ্রাধিকার বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের সুপারিশ তুলে ধরেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অন্যদের শোনার জন্য বৈষম্যের শিকারদের প্রথমে আওয়াজ তুলতে হবে। বৈষম্যকে নিরুৎসাহিত করে বর্তমান বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং বৈষম্য সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদগুলোকে অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু কাগজে-কলমে থাকলে চলবে না।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘সরকার, সুশীল সমাজ ও প্রান্তিক মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধনের জন্য ধন্যবাদ। বৈষম্যবিরোধী নতুন খসড়া ও আইন আমি তৈরি করব। আমাদের বাগানকে ফুলের বাগানে রূপান্তর করতে হবে।’
সমাপনী বক্তব্যে প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস কর্মসূচির চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক বলেন, পার বাস্তবায়নে ২০১৮ সাল থেকে সেসব সংস্থা কাউন্টার পার্টের সঙ্গে থেকে প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছে, তাদের কার্যকর অবদান ও উদ্যোগ এবং নাগরিক সমাজের এগিয়ে আসা, মিডিয়ায় প্রান্তিক মানুষের সমস্যামূলক প্রতিবেদন ও নীতিনির্ধারকদের অংশগ্রহণ এবং ইউএসএআইডির সহযোগিতার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর