২ মাস পেরিয়ে গেলেও আলো জ্বলেনি নোবিপ্রবির প্রধান ফটকে
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:১০
পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রধান ফটক। প্রায় দুই মাস আগে ফটকের নামফলকের লাইট নষ্ট হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে দিনের আলো ফুরিয়ে গেলেই নোবিপ্রবির প্রধান ফটক অন্ধকার ও অনিরাপদ হয়ে পড়ছে। লাইন মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, অন্ধকারে ভোগান্তি বা নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর বাইরেও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এভাবে দিনের পর দিন সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকার হয়ে থাকবে— এটি মেনে নেওয়ার মতো নয়। গেট আলোকিত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক প্রধান ফটক নির্মাণের দাবি তাদের।
নোবিপ্রবর পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আকলিমা হক সুলতানা সারাবাংলাকে বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থাকবে আকর্ষণীয় এবং বিশেষ গঠনের। সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নামফলকেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে আবার নানা ধরনের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে থাকায় বোঝাই যায় না যে এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। অবিলম্বে এখানে এমন একটি আধুনিক ফটক নির্মাণ করা উচিত যেন সেই ফটক থেকেও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাইদুল হক সায়মন বলেন, নোবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামফলকটির লাইট অনেক হলো নষ্ট। প্রধান ফটকে পর্যাপ্ত লাইট না থাকায় রাতে সেখান থেকে গাড়ি পাওয়া বা সেখানে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সময় সমস্যায় পড়তে হয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নামফলক এভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থাকাটা শোভন নয়, সমীচীনও নয়। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় নেবে।
জানতে চাইলে নোবিপ্রবির প্রক্টর এ এফ এম আরিফুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, প্রধান ফটকে তিনজন আনসার দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তারা কেউ এ বিষয়টি (লাইট নষ্ট হয়ে যাওয়া) আমাদের জানাননি। আমরা জানার পর ডিপিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আধুনিক একটি ফটক নির্মাণে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নোবিপ্রবি প্রক্টর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য এসেছেন, দায়িত্ব নিযেছেন। তার কাছে আমরা এ বিষয়ে প্রস্তাব রাখব।
নোবিপ্রবির ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার মো. শরিফ হোসেন বলেন, ছাত্র আন্দোলন ও বন্যার জন্য দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমরা অনেক কাজ শেষ করতে পারিনি। একাডেমিক বিল্ডিং ১ ও ২-এর লিফটের সমস্যা থাকায় আমরা আগে সেটা ঠিক করার কাজ করছি। বাজেটেও স্বল্পতা আছে। আমরা উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধান ফটক বা পুকুর পারসহ ক্যাম্পাসে যেখানে যেখানে লাইটের প্রয়োজন, আমরা সেখানেই লাইট দেবো।
সারাবাংলা/টিআর