আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হবে না: হানিফ
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৩
ঢাকা: আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই বলে মনে করছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে বাংলাদেশে অতীতে কোনো নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
‘আওয়ামী লীগ ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে’— নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের দেওয়া সাম্প্রতিক এমন বক্তব্যের জবাবে হানিফ এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তার প্রেস সচিব তারিক-উল-ইসলাম টুটুল এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে হানিফ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার যে হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধরনের অপতৎপরতা থেকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের অন্যতম এ যুগ্ম সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রধান হিসেবে বদিউল আলম মজুমদার গণতন্ত্রের কথা বলছেন। আবার আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ-শক্তিশালী রাজনৈতিক দল, যে দলের নেতেৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে, দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা-মর্যাদা যে দলের হাত ধরে, সেই দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচনের কথাও বলেছেন। এ ধরনের বক্তব্য এবোরেই অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক।
হানিফ উল্লেখ করেন, আইয়ুব খানের শাসনামল থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আওয়ামী লীগ এই দেশের মাটি ও মানুষের দল। আওয়ামী লীগের শেকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এটাও মাথায় রাখতে হবে— ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে যখন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, তখনো এমন একটি ধাক্কা এসেছিল। সেই আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। অতএব এবারের ঘটনায় এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।
‘আওয়ামী লীগ আবার অতীতের মতো ঘুরে দাঁড়াবে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না,’— বলেন মাহবুবউল আলম হানিফ।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সরকার থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ। ওই দিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।
৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনার ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রথম আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসে গত ১৪ সেপ্টেম্বর। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ওই দিন দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এক বার্তা দেন। এরপর বৃহস্পতিবার হানিফ প্রথম কোনো বিজ্ঞপ্তি পাঠালেন গণমাধ্যমে।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর