Tuesday 19 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিরাপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৩

ঢাকা: ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের জন্য দায়ীদের সাজা ও নিরাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে সাবেক বিডিআর সদস্যদের নিয়ে তৈরি সংগঠন ‘বিডিআর ঐক্য’। আর এ কাজ করতে সরকারকে প্রয়োজনে সময় দেওয়া হবে।

শুক্রবার (সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের নেতারা।

এর আগে, গত ৮ সেপ্টেম্বর বিডিআর কল্যাণ পরিষদও সংবাদ সম্মেলন করে। সে সময় তারা বর্তমান সরকারকে ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়। একইসঙ্গে ১৮ হাজার ৫২০ জন্য সদস্যদের নির্দোষ দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

বিডিআর ঐক্যের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি যারা হত্যাকাণ্ড ও পূর্বপরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। অন্য সব নিরপরাধ বিডিআর সদস্যকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক বিডিআর সদস্য সাঈয়েদ আহমেদ খান। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরক আইনের মামলায় যারা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ জেলখানায় আটক আছে, অতি দ্রুত পিপি নিয়োগ করে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করা হোক। যেহেতু অল্প কিছু দিন পূর্বে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নতুন সরকারকে আরও কিছুদিন সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।’

সাঈয়েদ আহমেদ বলেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার বাংলাদেশ সীমান্তে ভোর ৬টায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে অথচ পরবর্তীতে পিলখানায় ঘটনা ঘটে আনুমানিক সকাল ৯টায়। ভারত সরকার পিলখানার পরিকল্পিত ঘটনা ঘটার ৩ ঘণ্টা আগে রেড অ্যালার্ট দেওয়ার কারণ কী? ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বাইরে কোনো ঘটনা না ঘটলেও ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাইরের বিভিন্ন ইউনিটগুলোতে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে সেনাবাহিনী কর্তৃক বিডিআরের ইউনিটগুলোতে আক্রমণ করা হবে। এতে করে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাইরের ইউনিটের বিডিআর সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে তাদের গণহারে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।’

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রমাণ করতে না পারায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ আখ্যা দিয়ে গণহারে বিশেষ আদালত ১ থেকে ১৮ এর মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এতে আরও বলা হয়, এভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি ঐতিহ্যবাহী ও সুশৃঙ্খল বাহিনীকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।

সারাবাংলা/ইউজে/এমও

পুনর্বহাল বিজিবি বিডিআর সংবাদ সম্মেলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর