পেশাগত সনদ পাননি ৩ হাজারেরও বেশি নার্স
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১০
ঢাকা: দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পেশেন্ট কেয়ার (নার্সিং) বিভাগে পাস করা সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী। সকল প্রকার যোগ্যতা অর্জন করা সত্ত্বেও তাদেরকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত এই বৈষম্য নিরসন না করা হলে আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোনার বাংলা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. আলমগীর রানা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ২০০৫ সালে তৎকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ারসহ (নার্সিং) মোট সাতটি হেলথ টেকনোলজি কোর্স চালু করে। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে সরকার বদল হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আন্তঃজটিলতার সৃষ্টি হয়। যার ফলে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পাশ করা ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ারসহ (নার্সিং) মোট সাতটি হেলথ টেকনোলজির ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি ও বেসরকারি চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন। এমন অবস্থায় ২০১৩ সালে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ১৪৪তম বোর্ড সভায় ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি (৩ বছর মেয়াদী) কোর্সের নাম পরিবর্তন করে অন্যান্য কোর্সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটি চার বছর মেয়াদি করা হয়।
তারা বলেন, এরমধ্যে ৩ বছর মেয়াদি কোর্সে পড়াশোনা শেষ করা শিক্ষার্থীরা নিরুপায় হয়ে ২০১৬ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পরে হাইকোর্ট ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে রায় দেয়। পরে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। সেখানেও দীর্ঘ শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখে রায় দেয়।
তারা আরও বলেন, আমরা গত ১৫ বছরের বৈষম্যের অবসান চাই। বিশেষ করে গত ১১ আগস্ট থেকে আমাদের পেশাগত সনদ (লাইসেন্স) দেওয়ার কাজ শুরু হলে বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের দোসর বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত নার্সিং নেতাদের বাধার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের দাবি, বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারী কাউন্সিল হতে সকল বৈষম্য দূর করে অনতিবিলম্বে পেশেন্ট কেয়ার (নার্সিং) বিভাগে পাসকৃত সকলকে পেশাগত সনদ প্রদান করা হোক। অন্যত্থায় আমরণ অনশনসহ বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানান তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমানসহ অনান্যরা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/ইআ