ঢাকা: বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছে একদল শিক্ষার্থী। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে একদল শিক্ষার্থী কাওরানবাজারের বেসিস কার্যালয়ে প্রবেশ করে রাসেল টি আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী রয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকেও শিক্ষার্থীদের বেসিস কার্যালয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৈঠকে বসেছে সেনাবাহিনী, শিক্ষার্থীদের একটি দল ও বেসিসের ইসি কমিটির সদস্যরা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাফাত চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমে সকাল ১০টার দিকে ৫ থেকে ৭ জনের একদল শিক্ষার্থী এসে বিভিন্ন তথ্য চায়। সেসব তথ্য বেসিস থেকে দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনী না আসা পর্যন্ত তারা কোনো রেসপন্স করেননি। দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত কোন তথ্য দেয়নি। এখন পরিস্থিতি নিয়ে ভেতরে সভা হচ্ছে আধা ঘণ্টা ধরে। সভায় সেনাবাহিনী, শিক্ষার্থী ও বেসিসের নেতারা উপস্থিত আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। তিনি আওয়ামী সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করেছেন। স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে কাজ করেছেন। এখনো তিনি কিভাবে পদে থাকেন। আমরা তার পদত্যাগ চাই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসিসের একজন পরিচালক জানান, বিকাল সাড়ে তিনটা বা চারটার দিকে শিক্ষার্থীরা বেসিস কার্যালয়ে আসে। এরমধ্যে বেসরকারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। তারা বেসিস সভাপতির পদত্যাগ দাবি করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী এসেছে। এখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও বেসিসের নেতারা কথা বলছেন।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদকে ফোন দিলে তিনি ধরেননি। বেসিস সেক্রেটারিকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে ফোনে কথা বলা সম্ভব হয়নি আরও বেশ কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গেও।
সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ব্যানারে ৩০ থেকে ৫০ জনের একদল শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে রয়েছেন।