Thursday 17 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্টোরে জমা গ্যাসে অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণ— বিপিসির প্রতিবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্টোর রুমে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরিত হয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত অয়েল ট্যাংকার এমটি বাংলার জ্যোতিতে আগুন লাগে বলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এমটি বাংলার জ্যোতি জাহাজের সম্মুখভাগে অবস্থিত ফোর পিক স্টোরে, যেখানে জাহাজের রশি, নোঙ্গর ও আরও বিভিন্ন সরঞ্জাম জমা রাখা হয়, সেখানে বিস্ফোরণের ফলে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এ ফোর পিক স্টোরে বিপুল পরিমাণ দাহ্য গ্যাস জমা হয়ে থাকায় এ ধরনের তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে কমিটি মনে করে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর সীমানায় ইস্টার্ন রিফাইনারির সাত নম্বর ডলফিন জেটিতে জ্বালানি তেল খালাসে নিয়োজিত বাংলার জ্যোতি অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তিন জন নিহত হন। নিহতরা হলেন- সেসময় দায়িত্বরত ডেক ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা, বিএসসির ওয়ার্কশপের চার্জম্যান নুরুল ইসলাম এবং অস্থায়ী শ্রমিক মো. হারুন।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শরিফ হাসনাতকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি সোমবার রাতেই বিপিসির কাছে এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে জানার জন্য কমিটি প্রধান শরিফ হাসনাতকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেদনের অনুলিপি সারাবাংলার কাছে সংরক্ষিত আছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আবুধাবি থেকে আমদানি করা প্রায় ৯৮ হাজার ৩৮৩ মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেলবাহী মাদার ভ্যাসেল ‘ওমেরা ল্যাগাসি’ গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুতুবদিয়ায় বন্দরের বহির্নোঙ্গরে আসে। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে গভীর সাগরে তেল লাইটারিং শুরু হয়। পঞ্চম লাইটার জাহাজ হিসেবে বাংলার জ্যোতি তেল নিয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারির জেটিতে এনে খালাস করছিল। খালাসের সময় সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে জাহাজের সম্মুখভাগে বিকট বিস্ফোরণ হয়।

বিস্ফোরণের আগমুহূর্ত পর্যন্ত জাহাজটি থেকে প্রায় ৮০০ মেট্রিক টন তেল খালাস হয়। সেখানে আরও প্রায় ১০ হাজার ৯১৬ মেট্রিকটন তেল ছিল, যা অক্ষত আছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনে জাহাজটির মালিক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক জানান, জাহাজটিতে প্রথমে বিস্ফোণ ঘটে এবং এতে সৃষ্ট আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে ট্যাংকে রক্ষিত জ্বালানি তেলে আগুন পৌঁছালে ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হতো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাহাজটিতে থাকা প্রায় ১১ হাজার মেট্রিকটন তেল খালাসে প্রায় ২২ ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হবে। কার্গো খালাস সম্পন্ন করা হলে জাহাজটি মেরামত বা সংস্কারের উদ্দেশ্যে সরিয়ে নেওয়া জরুরি।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

টপ নিউজ ট্যাংকার বাংলার জ্যোতি বিপিসির প্রতিবেদন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর