নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে নিসচার মাসব্যাপী কর্মসূচি
১ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:২১
ঢাকা: জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। ফ্রি হেলমেট বিতরণ, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, শিক্ষার্থী সমাবেশ, সেফটি জ্যাকেট বিতরণ এবং স্পিড ব্রেকার ও জেব্রা ক্রসিংয়ে রঙ লাগানোর মতো অসংখ্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আয়োজিত মাসব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্বোধন ও সড়ক নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। এ সময় সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অক্টোবর মাসব্যাপী সারা দেশে আমাদের সহযোদ্ধারা নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন। এর মধ্যে আছে— ফ্রি হেলমেট বিতরণ, সড়কে যানবাহনে চলাচলের জন্য করণীয় শীর্ষক সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সড়ক ব্যবহারে সচেতন করতে শিক্ষার্থী সমাবেশ, যারা স্বেচ্ছাশ্রম দিতে চায় এমন সড়ক যোদ্ধাদের মধ্যে সেফটি জ্যাকেট বিতরণ, মোটর শ্রমিকদের মধ্যে সেফটি জ্যাকেট বিতরণ, যানবাহন চলাচল ও পথচারী পারাপারে স্পিড ব্রেকার ও জেব্রা ক্রসিংয়ে রঙ করা, যানজট নিরসনে ট্রাফিক ক্যাম্পেইন।
নিসচার কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে— সড়ক নিরাপত্তা ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলন, শিক্ষর্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ কর্মশালা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, অভিভাবক সমাবেশ, মা সমাবেশ, চালক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, গোলটেবিল বৈঠক, র্যালি ও সমাবেশ, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময়, সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনতামূলক সাইন বোর্ড স্থাপন, অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে সতর্কতামূলক সাইন বোর্ড স্থাপন।
জাহানারা কাঞ্চনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন, সড়কে হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের মধ্যে সাধ্যমতো সহায়তা প্রদান, পরিবহণ মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়ার আয়োজনসহ আরও নানা কর্মসূচি এ মাসে রয়েছে নিসচার। একই সঙ্গে ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নিসচা কেন্দ্রীয় ও শাখা পর্যায়ে নিজস্ব কর্মসূচি পালন করবে।
নিসচা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ককে নিরাপদ করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা হলাম অংশীজন। অতীতে যখন যে সরকার দেশ পরিচালনা করেছে, স্বভাবতই সড়ক নিরাপত্তার দাবি-দাওয়া নিয়ে তাদের কাছে যেতে হয়েছে। তার অর্থ এই নয় যে আমি বা আমার সংগঠন সেই সরকারের অংশ। কেবল আমাদের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার জন্য একটি অশুভ চক্র কৌশলে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছে।
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে ওই চক্রটি আমাকে বিরোধী দল বানিয়ে দিয়েছে। অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও কান ভারী করা হয়েছে এই বলে যে আমি পতিত সরকারের লোক। দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বলতে হচ্ছে, ৩১ বছর ধরে দেশের মানুষের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাওয়া সংগঠনটিকে সব সরকারের কাছে অবহেলিত ও নিগৃহীত হতে হয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর