‘পোশাক শিল্পের অস্থিরতা মালিকদের পরিকল্পিত চক্রান্ত’
২ অক্টোবর ২০২৪ ০১:৩৪
ঢাকা: পোশাক শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি পতিত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী মালিকদের পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আন্দোলনের সময় আহত রিকশা চালক সাইদুল ইসলামকে নতুন অটোরিকশার চাবি ও কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল একটা গণ্ডগোল হয়েছে গার্মেন্টসে। যারা গার্মেন্টসের মালিক, যারা শেখ হাসিনার সুবিধাভোগী, তাদের গার্মেন্টসের লোকরা এসে অন্যান্য যেসব গার্মেন্টস আছে, যারা নিরপেক্ষ অথবা বিএনপি সমর্থিত, তাদের গার্মেন্টসে এসে হামলা করেছে। আমরা তো আলমত দেখছি। এটা আমরা তথ্য নিয়ে বলছি।’
‘কে নজরুল ইসলাম? কে সালাম মোর্শেদী? এরা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী নয়? এরা আওয়ামী লীগের এমপি ছিল না? এদের গার্মেন্টস থেকে লোকজন এসে কৃত্রিমভাবে, পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। যাতে ছাত্র-জনতার এই বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যায়, এটা যেন টিকে থাকতে না পারে— এই ধরনের ষড়যন্ত্র ওরা করছে’— বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘এটা শুধু গার্মেন্টসে নয়, যেমন পাবর্ত্য চট্টগ্রামে একটা তুচ্ছ ঘটনাকে নিয়ে একটা বড় ঘটনা হল। পতিত স্বৈরাচারের দুষ্ট চক্র প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জায়গায় তারা সুতার টান দিচ্ছে এবং একটার পর একটা ঘটনা ঘটাচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘কী ভয়ংকর নিপীড়নের একেকটা কেন্দ্র জনপদের পর জনপদের তারা (বিগত সরকার) তৈরি করেছে। এজন্য আমরা বারবার বলেছি, আওয়ামী লীগের এমপি, আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার চেয়ারম্যান— এরা এই ভয়ংকর জনপদ তৈরি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এই অন্তবর্তী সরকারকে সবাই সমর্থন করেছে। এটা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফসল। তাহলে যারা এই ধরনের নিপীড়নের কেন্দ্র তৈরি করেছিল, আপনি (অন্তবর্তী সরকার) তাদের (ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি পরিষদ) বাতিল করছেন না কেন? এরা তো সেই আওয়ামী লীগের গুন্ডা-পান্ডা-সন্ত্রাসী তারা কত হিংস্র-বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘আমি উপদেষ্টা পরিষদকে বলতে চাই, আপনাদের ভয় কীসের? কে আপনার নিষেধ করছে, কারা আপনাদেরকে নিষেধ করছে যে, এটা করা যাবে না? এটা (ইউপি) রাখা মানে যারা নিপীড়িত, যারা শহিদ হয়েছে, তাদের রক্তের প্রতি অবমাননা করা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ১৬/১৭ বছর লড়াই করেছি। কোনো চক্রান্তকারীরা চক্রান্ত করে, তাদের প্রভুদের কাছ থেকে মদদ নিয়ে আর কিছু করতে পারবে না। জনগণের শক্তি সর্বোচ্চ শক্তি, এটা ভুলে গিয়েছিল শেখ হাসিনা।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম