সেপ্টেম্বরেও মূল্যস্ফীতি কমেছে
২ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩৭
ঢাকা: জুলাই মাসে দেশের ইতিহাসের রেকর্ড গড়ার পর আগস্টে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছিল। সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি আরও কিছুটা কমেছে। এ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। আগের মাস আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ৫৬ শতাংশ পয়েন্ট।
এদিকে সেপ্টেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সে হিসাবে প্রায় ১ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি। অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। বিবিএসের হিসাব বলছে, সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমার পেছনে বড় ভূমিকা রেখে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হ্রাস।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য বা খাদ্য বহির্ভূত কোনো পণ্য কিংবা কোনো সেবার জন্য খরচ কতটা বাড়ছে, তার হিসাবই হলো মূল্যস্ফীতি। বিবিএস মূল্যস্ফীতির যে হিসাবটি প্রকাশ করে, সেটি মূলত আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পণ্য বা সেবার দামের পার্থক্যের হিসাব।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশের অর্থ হলো, আগের বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ মাসে সার্বিকভাবে যেকোনো ধরনের পণ্য কিনতে খরচ ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যে পণ্যের দাম ছিল ১০০ টাকা, সদ্যগত সেপ্টেম্বর মাসে তার দাম ছিল ১০৯ টাকা ৯২ পয়সা।
এদিকে বিবিএসের হিসাবে আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে বলা হলেও বাজারে তার প্রভাব খুব একটা দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, গত মাসের তুলনায় এ মাসে বরং ডিম-মাছ-সবজিসহ অনেক খাদ্যপণ্যের দামই বাড়তি।
মাসিক মূল্যস্ফীতির হিসাব বলছে, সেপ্টেম্বরে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গ্রাম এলাকায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর গ্রামে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে সেপ্টেম্বরে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক শূন্য এক শতাংশ। শহরে খাদ্যপণ্যের পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশে, যা তার মাসে ছিল ১১ দশমিক ২৪ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে অবশ্য শহর এলাকায় খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ।
সারাবাংলা/জেজে/টিআর