গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকা করের রায় প্রত্যাহার
৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:০৭
ঢাকা: পাঁচ করবর্ষের বিপরীতে ৬৬৬ কোটি টাকা প্রদেয় কর দাবি নিয়ে কর কমিশনারের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গ্রামীণ কল্যাণের করা পৃথক রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আর আগস্টের ৪ তারিখ দেওয়া ওই রায় প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছেন গ্রামীণ কল্যাণের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই বেঞ্চে কনিষ্ঠ বিচারক এক সময় এসব মামলায় সরকার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাই রায়টি প্রত্যাহার করে মামলার নথি প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠানো হয়েছে।
পুনর্মূল্যায়নের পর ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ —এই করবর্ষের জন্য গ্রামীণ কল্যাণের কাছে প্রদেয় কর দাবি নিয়ে গ্রামীণ কল্যাণ ২০১৭ সালে পৃথক রিট করে।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে এনবিআর গত বছর পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। গত ১১ মার্চ আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টে মূল বিষয়বস্তুর ওপর শুনানির নির্দেশ দেন। সে অনুসারে শুনানি শেষে ৪ আগস্ট রুল খারিজ করে রায় দেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রায়ের পর তখন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি জানিয়েছিলেন, পাঁচটি করবর্ষের জন্য গ্রামীণ কল্যাণের কাছে কর বাবদ ৬৬৬ কোটি টাকা দাবি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। রিট দুটি খারিজ হওয়ায় আয়কর বাবদ গ্রামীণ কল্যাণের কাছ থেকে ওই অর্থ আদায় করতে পারবে এনবিআর।
তবে গ্রামীণ কল্যাণের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার কথা জানিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ৪ আগস্ট রুল খারিজ করে দিলেন। এরপর ৮ আগস্ট এটা আবার কার্যতালিকায় আসলো রিকল (রায় প্রত্যাহার) করার জন্য। ২৯ আগস্ট এসে রিকল করলেন। রিকল করার যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছেন- সেকেন্ড জাজ এই কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। সরকারের পক্ষে এই মামলায় প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। সুতরাং এ রায় ডিফেকটিভ থাকবে। তাই রিকল করে আদেশ দিলেন এবং পুনরায় কোর্ট নির্ধারণ করার জন্য মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠালেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ