Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দিনাজপুরে বাহারি কলার ফলন, দামে খুশি চাষিরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:০৫

দিনাজপুর: ধান, লিচু, আমের পর এবার উত্তরের জেলা দিনাজপুরে বাড়ছে কলার আবাদ। জেলায় উঁচু জমি, আবহাওয়া, ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কলার আবাদ বাড়ছে। এই জেলার কলা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। আবাদে খরচ কম ও ভালো দাম পাওয়ার নিশ্চয়তার কারণে কলা চাষে ঝুঁকছেন স্থানীয় কৃষকরা।

কলার আবাদ করে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার দশমাইল এলাকায় গড়ে উঠেছে কলার পাইকারি বাজার। যেখানে ভোর থেকে চলে বিভিন্ন জাতের কলা বেচা-কেনা। প্রতিদিন পাইকারি এই হাটে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার কলা বিক্রি হয়।

বিজ্ঞাপন

জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলার সবকটি উপজেলায় কলার আবাদ হয়ে থাকে। তবে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ কলার আবাদ হয় জেলার সদর, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, কাহারোল ও বিরল উপজেলায়। শ্রাবণ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে আশ্বিনের শেষ পর্যন্ত কলা গাছ থেকে নামানো হয়। সবরি, মেহেরসাগর, মালভোগ ও চিনি চাম্পা কলাসহ বেশ কয়টি কলার চাষ হয় এই জেলায়। এ বছর জেলায় প্রায় এক হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে।

সদর উপজেলার কলা চাষি কুদ্দুস আলী বলেন, গত বছর দাম কম ছিল। গত বছর যে কাদি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার জাত ভেদে সেই কলা ৪০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের লাভ ভালো হচ্ছে।

কাহারোল উপজেলার কলা চাষি আমজাদ হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে মোটামুটি ৬০০ থেকে ৭০০ কলার গাছ রোপণ করা যায়। যেখানে রোপণ থেকে ফসল উত্তোলন পর্যন্ত সার-কীটনাশক, পরিচর্যা বাবদ প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়।

দিনাজপুর জেলা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুজ্জামান বলেন, মেহেরসাগর কলা দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী ফসল। কলা চাষে খরচ কম, ঝুঁকি ও রোগবালাই কম থাকায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কলা চাষ। কলার ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে অন্যান্য শাকসবজির চাষ করেও লাভবান হচ্ছেন কৃষক। উত্তম কৃষি চর্চার আওতায় এনে কলা চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইআ

কলা চাষ দিনাজপুর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর