Wednesday 16 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাঙ্গামাটিতে চীবর দান আয়োজনে ডিসির অনুরোধ, সময় নিলেন ভিক্ষুরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৭ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৩৮

রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভিক্ষুকদের (ধর্মীয় গুরু) সঙ্গে মতবিনিময় সভা ডাকেন প্রশাসন। মতবিনিময় সভায় জেলার ডিসি তাদের চীবর দান আয়োজনের অনুরোধ করেন।

রোববার (৬ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলন থেকে তিন পার্বত্য জেলায় এবছর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ভিক্ষুরা (ধর্মীয় গুরু)। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের আলোচনায় বসেন প্রশাসন। তবে মতবিনিময় সভার আগে ভিক্ষুদের সঙ্গেও বৈঠক করে প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

এসময় জেলাপ্রশাসক রাঙ্গামাটিতে চীবর দান আয়োজনের জন্য অনুরোধ জানালেও সময় নিয়েছেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। আর মতবিনিময় সভায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতারা বলছেন, ভিক্ষুদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে চীবর দান আয়োজন।

সোমবার দুপুরে কঠিন চীবর দান-২৪ পালনের লক্ষ্যে রাঙ্গামাটিতে মতবিনিময় সভায় জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, ’কঠিন চীবর দান পালনে রাঙ্গামাটিতে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না। নির্বিঘ্নে কঠিন চীবর দান পালন করতে পারবে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপত্তার বলয় আগের চাইতে আরও বাড়ানো হবে।’

জেলাপ্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কঠিন চীবর দান পালনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলাপ্রশাসকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগেও নেয়া হয়েছে, সেটাকে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আরও আধুনিকভাবে পরিকল্পনা নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সাজাবো। রাঙ্গামাটিতে নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি এখানে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নেই।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে, দুপুরে ১২টার দিকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সঙ্গে জেলাপ্রশাসকের কক্ষে বৈঠক করেন জেলাপ্রশাসক। ভিক্ষুদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, উনাদের কথাগুলো শুনেছি। তারা বলেছেন, ’শুধু রাঙ্গামাটি ঠিক থাকলে হবে না, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পরিস্থিতিগুলো দেখতে হবে। যেহেতু তারা তিন পার্বত্য জেলার সম্মিলিত হয়ে কঠিন চীবর দান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেক্ষেত্রে তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন এবং আমাদের থেকে সময় চেয়েছেন। আমরা রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চটা দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বস্ত করেছি।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি নিরূপা দেওয়ান, মৈত্রী বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পূর্ণচন্দ্র দেওয়ান, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হারুন মাতব্বর, জামায়াত ইসলামীর জেলা আমীর আবদুল আলিম প্রমুখ।

সারাবাংলা/এইচআই

চীবর দান রাঙ্গামাটি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর