শক্তিরূপিণী বা রাজেশ্বরী– নানা আঙ্গিকে দেবী বন্দনার আয়োজন
৭ অক্টোবর ২০২৪ ২২:১১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চিরায়ত শক্তিরূপিণী কিংবা ষোড়শী রাজ রাজেশ্বরী– এমন বৈচিত্র্যময় নানা ভাবনা, নানা আঙ্গিকে তুলে ধরে চট্টগ্রামে মণ্ডপে-মণ্ডপে চলছে দুর্গাপূজার বর্ণিল প্রস্তুতি। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যে দুর্গাপূজার আয়োজন নিয়ে নানামুখী আলোচনা থাকলেও উৎসবের আয়োজনে তেমন কমতি নেই।
মণ্ডপে প্রতিমার কাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ। জোরশোরে চলছে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জার কাজ। মণ্ডপে এবং কারখানায় প্রতিমার মূর্তিতে চলছে শেষ মুহূর্তের তুলির আঁচড়। মাটির মূর্তিতে প্রাণ দিচ্ছে শিল্পীর রংতুলি! বস্ত্র পরিধানের কাজ চলছে। বলা যায়, প্রস্তুত দেবীর প্রতিমাও। এখন শুধু পূজোর জন্য মণ্ডপে আসন নেওয়ার অপেক্ষা।
পূজা উদযাপন পরিষদের সংগঠকরা বলছেন, চট্টগ্রামে গতবছরের চেয়ে কিছু কমে এবার ২ হাজার ১৯০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এবার চট্টগ্রামে ছোট-বড় ২ হাজার ৪৫২টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন হয়েছে। তবে দুর্গাপূজায় অপ্রীতিকর যেকোনো ঘটনা এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি এবার সেনাবাহিনীও দায়িত্ব পালন করবে। এর পাশাপাশি বিএনপি মণ্ডপের নিরাপত্তায় তাদের নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রাখার জোর প্রস্তুতি নিয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বাঙালি সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। রোববার (১৩ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, নগরীতে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন হয়েছে ২৯৩টি মণ্ডপে। গতবছর আয়োজন হয়েছিল ২৯৬টি মণ্ডপে।
নগরীর ১৫ থানার মধ্যে কোতোয়ালি থানায় ৮৬টি, ডবলমুরিং থানায় ৪টি, চকবাজারে ৮টি, সদরঘাট ১৮টি, বন্দর ২১টি, বাকলিয়া ৬টি, পতেঙ্গা ১০টি, ইপিজেড ৭টি, হালিশহর ৮টি, বায়েজিদ ২৫টি, আকবরশাহ ১৫টি, খুলশী ৯টি, পাহাড়তলী ২১টি, চান্দগাঁও ১৯টি এবং পাঁচলাইশে ১১টি স্থানে দুর্গাপূজার আয়োজন হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল সারাবাংলাকে বলেন, ‘২-৩টি পূজার আয়োজন এবার কমেছে, সেটা কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কারণে নয়। কমিটির মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ আছে কিংবা নিজেদের মধ্যে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আয়োজন হচ্ছে না। সার্বিকভাবে বলতে পারি, পূজা হচ্ছে এবং আগের মতোই আড়ম্বরপূর্ণভাবে পূজার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বড় বড় যেসব মণ্ডপ আছে, যেখানে প্রায় লাখো দর্শনার্থীর সমাগম হয়, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে আয়োজন সংকুচিত করেছেন তারা নিজেরাই। কয়েকটিতে আগের মতোই হচ্ছে।’
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলায় এবার ১০২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে না। এবার চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ২ হাজার ১৫২ টি মণ্ডপে পূজা হবে। এর মধ্যে প্রতিমা পূজা ১ হাজার ৫৯৪টি ও ঘটপূজা ৫৫৮ টি। গতবছর হয়েছিল ২ হাজার ১৯০টি। এর মধ্যে প্রতিমা পূজা ছিল ১ হাজার ৬৬৪ টি ও ঘট পূজা ৫২৬টি।
চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মধ্যে এবার আনোয়ারায় ২৯৯টি, কর্ণফুলীতে ২৬টি, মীরসরাইয়ে ৯০টি, সীতাকুণ্ডে ৬৭টি, সন্দ্বীপ ৩০টি, ফটিকছড়িতে ১২৩, হাটহাজারী ১১৪, রাউজান ২২৮, রাঙ্গুনিয়া ১৬১, বোয়ালখালী ১৪৬, পটিয়া ১৯৫, কর্ণফুলী ২৮টি, চন্দনাইশ ১২৮, সাতকানিয়া ১৮৪, লোহাগাড়া ১১১ এবং বাঁশখালীতে ২৫০ মণ্ডপে পূজা হচ্ছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে অনেকে মণ্ডপ বানিয়ে পূজার আয়োজন করতেন। এবার তাদের অনেকেই করছেন না কিংবা আয়োজন সংকুচিত করেছেন। আর্থিক সমস্যার কারণে সেটা হতে পারে। এজন্য পূজামণ্ডপের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে সার্বজনীন কমিটির মাধ্যমে যেসব আয়োজন হয়ে আসছে, সেগুলোতে আগের মতোই পূজার আয়োজন করা হয়েছে।’
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহমুন নবী সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে আমাদের হিসেবে মোট ২৪৫২টি মণ্ডপে পূজা হবে। সে হিসেবে ১২২৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো নগদ টাকাও বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলো উপজেলাভিত্তিক বিতরণ করা হবে।’
নিরাত্তার জোর প্রস্তুতি
চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলায় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার জোর প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবিও থাকবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া প্রতিটি বড় মণ্ডপকে, যেখানে দর্শনার্থীর সমাগম বেশি হয়, সেগুলোকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কাজ চলছে।
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে প্রতিটি মণ্ডপের মধ্যে সাধারণগুলোতে ছয়জন করে এবং গুরুত্বপূর্ণগুলোতে আটজন করে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। পুলিশ সদস্য থাকবে অন্তত তিনজন করে। এর বাইরে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য এবং র্যাবের টহল টিম মণ্ডপ এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মণ্ডপের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন।
একই ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা চট্টগ্রাম জেলার পূজামণ্ডপগুলোর জন্যও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার মো. ফাহমুন নবী সারাবাংলাকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসক স্যারের নেতৃত্বে পূজা উদযাপন পরিষদ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোর কমিটির মিটিং হয়েছে। পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী সবাই মিলে মণ্ডপে নিরাপত্তার বিষয়ে সার্বিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের এলাকা আলাদা করে দিয়ে নিরাপত্তার বিষয়টি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি আমরা মনিটরিং করছি।’
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সুন্দরভাবে দুর্গাপূজা যাতে সম্পন্ন হয়, সেজন্য সিএমপির পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের সদস্যরা পূজার সময় তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী মণ্ডপে থাকবেন। সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবেন। আশা করছি, নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে অবশ্যই।’
মাঠে থাকবে বিএনপিও
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা আয়োজন নিয়ে নানামুখী শঙ্কা বিরাজ করছে। এ প্রেক্ষাপটে দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে চট্টগ্রামে দিনরাত পাহারার ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। অন্যদিকে, জামায়াতের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়েছেন বলে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের পূজামণ্ডপগুলোতে অপ্রীতিকর যেকোনো ঘটনা প্রতিরোধে সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমকে। তিনি এরই মধ্যে চট্টগ্রামসহ ১১ জেলায় পূজা উদযাপন পরিষদ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করেছেন। এসব সভায় স্থানীয়ভাবে পূজামণ্ডপ পাহারায় বিএনপির কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রত্যেক জেলায় গিয়ে উপজেলা থেকে ইউনিট পর্যায় পর্যন্ত দায়িত্বশীল নেতারা এবং পূজা উদযাপন পরিষদ ও আয়োজকদের সঙ্গে মিটিং করেছি। উপজেলা কমিটির তত্ত্বাবধানে এলাকাভিত্তিক বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা হচ্ছে, শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণভাবে, নির্বিঘ্নে যেন হয়, সেজন্য যাতে আমরা পূজার্থি ভাইবোনদের পাশে থাকি। আমরা সেই নির্দেশনা পালন করছি।’
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে এরই মধ্যে আমাদের মিটিং হয়েছে। উনাদের স্বেচ্ছাসেবক টিম মণ্ডপে-মণ্ডপে থাকবে। জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকেও আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে বলা হয়েছে যে, উনারা অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। সবাই আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা নিরাপত্তার কোনো অভাববোধ করছি না।’
ভাবনায় বৈচিত্র্য, নানা রূপে দেবীর অধিষ্ঠান
সনাতনধর্মী বাঙালিরা শারদীয় উৎসবে মূলত দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপের পুজো করেন। অর্থাৎ শক্তিরূপিনী দুর্গার অসুরবধের বিষয়টিই প্রাধান্য পায় শারদ উৎসবে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় ভাবনায়ও এসেছে বৈচিত্র্য। থিম পূজা কিংবা ভাবনার বৈচিত্র্য এনে নানারূপে দেবীকে ভক্তদের কাছে উপস্থাপন– বিষয়টি গত এক-দেড় দশক ধরে চট্টগ্রামে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত শিল্পী কিংবা তাদের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজস্ব ভাবনার বাস্তবায়ন করা হয় সাজসজ্জা দিয়ে। এবারও তেমন আয়োজনের কমতি নেই চট্টগ্রামজুড়ে।
চট্টগ্রাম নগরীতে যেসব পূজামণ্ডপ আলোচনা ও আগ্রহের শীর্ষে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম পাথরঘাটার ‘আদি গঙ্গাবাড়ি’। এবার তাদের ভাবনা ‘রাজ রাজেশ্বরী’। পৌরাণিক মতে, দেবীর ১০৮টি রূপের মধ্যে রাজেশ্বরী দেবীর ষোড়শী রূপ আর দশমহাবিদ্যার তৃতীয় রূপ। পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগরে রাজশ্বরী রূপে দেবী পূজিত হন। প্রতিমা বানাচ্ছেন বিকাশ পাল।
আদি গঙ্গাবাড়ির আয়োজকদের অন্যতম অভিজিৎ দাশ সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাজেশ্বরী রূপে মায়ের যে মহিমা, সেটাই আমরা এবার তুলে ধরছি। স্বাত্ত্বিকভাবে মায়ের যে অবয়ব, সেটাই আমরা রাখার চেষ্টা করেছি। এর সঙ্গে আনুষাঙ্গিক যে সাজসজ্জা, একটি বড় গেইট, নকশা, আলোকায়ন – এসব তো আছেই।’
পাথরঘাটা পাঁচবাড়ি পূজামণ্ডপে এবার প্রতিমা তৈরি করেছেন বিশ্বজিৎ পাল লিটু। আয়োজকরা জানালেন, এবার তাদের ভাবনা হচ্ছে আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মায়ের কৃপালাভে আরাধনা। আয়োজকদের ভাষায়, ‘নারীদের পেছনে যুগে যুগে অসুরের ছায়া ছিল, আছে, থাকবে। কিন্তু সেই অসুরের বিনাশ যুগে যুগে সেই নারীকেই করতে হবে।’
পটিয়া পৌরসভার শ্রী জগন্নাথ ধাম মণ্ডপের আয়োজনের এবারের ভাবনা- আর নেই একান্নবর্তী পরিবার। এমন ব্যতিক্রমী ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলতে মূল তোরণেই নানা মূর্তিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পারিবারিক আবহ। একসময়ের যৌথ পারিবারিক সংস্কৃতি, কালের বির্বতনে যেগুলো এখন বিলুপ্তপ্রায়, তাই যেন স্মরণ করানোর আয়োজন !
‘জগন্নাথের রথের টানে, দুর্গা আসে মর্ত্য পানে’– এমন ভাবনা নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে নগরীর উত্তর কাট্টলী শ্রী শ্রী জ্বালাকুমারি মন্দির প্রাঙ্গণে। নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার শ্রী শ্রী শ্মশানেশ্বর শিব বিগ্রহ মন্দিরে ‘মনুষ্য জাদুঘরের’ আদলে গড়া হয়েছে মণ্ডপ। বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামে দেবীর পূজামণ্ডপ ঘিরে মহাভারতের পাশা খেলার পর্বের আয়োজন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মূর্তি আর সাজসজ্জায়।
এর বাইরে চট্টগ্রাম নগরীতে সবচেয়ে আলোচিত হাজারী লেইন, নালাপাড়া, আফিমের গলি, গোসাইলডাঙ্গা এলাকার মণ্ডপগুলোও প্রতিবছরের মতো নানা আঙ্গিকে সাজছে।
চট্টগ্রামে তিনটি স্থানে এবারও প্রতিবছরের মতো শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীতে কুমারী পূজার আয়োজন হয়েছে। মণ্ডপগুলো হলো- নগরীর পাথরঘাটায় হরেশচন্দ্র মুন্সেফ লেইনে শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির,রাজাপুর লেইনে শ্রী শ্রী পঞ্চমাতা বিগ্রহ মন্দির এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় ভোলানাথগিরি সেবাশ্রম।
ছবি: শ্যামল নন্দী, স্টাফ ফটোকরেসপন্ডেন্ট, সারাবাংলা
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম