কেরুর টেন্ডার বাক্স ভাঙচুর
৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৩৯
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি কমপ্লেক্স কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে নামিয়ে এনে রাস্তার ওপর প্রকাশ্যে টেন্ডার বাক্স ভাঙচুর করেছে বিএনপি ও যুবদল নামধারী কিছু দুর্বৃত্ত। পরে ভেঙে যাওয়া টেন্ডার বাক্সটি কেরুর নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের কার্যালয়ে নিয়ে যান।
স্থানীয় বিএনপি বলছে, তাদের বা যুবদলের কোনো নেতাকর্মী এ ঘটনায় জড়িত নয়। কেরু কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) মাধ্যমে টেন্ডার বাক্স ভাঙচুরে জড়িত দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা সম্ভব।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেরু কার্যালয়ের সামনে টেন্ডার বাক্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ দিন ৯টি খামার ও কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কেন ক্যারিয়ার টেন্ডার দাখিলের দিন ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টেন্ডার বাক্স খোলার পর বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন দৃর্বৃত্ত কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় উঠে টেন্ডার বাক্স নিচে নামিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে দর্শনা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার ও মারুফুল ইসলাম এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবু হানিফসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাঙা টেন্ডার বাক্স উদ্ধার করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল ও রিকশায় করে পালিয়ে যায়।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী বলেন, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ৯টি খামারের আখ কাটা ও কেন ক্যারিয়ারের শিডিউল দাখিলের শেষ দিন ছিল আজ (সোমবার)। টেন্ডার বাক্স থেকে শিডিউল বের করে গণনা করার সময় হঠাৎ করে কিছু বখাটে ছেলে খালি টেন্ডার বাক্স অফিস থেকে নামিয়ে নিয়ে গিয়ে ভাঙচুর করে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাব্বিক হাসান বলেন, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম চলছিল, আমি সেখানে ছিলাম। তবে এডিএম ইউসুফ আলীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটি জেনেছি। এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।
পরে অবশ্য কেরুর পক্ষ থেকে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ তিতুমীর বলেন, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান ফোন করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের তেমন কোনো ক্ষতি না হওয়া এ ঘটনায় কেরু কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে মামলা করা হবে না।
এদিকে দুর্বৃত্তরা নিজেদের বিএনপি-যুবদল পরিচয় দিলেও ঘটনায় নিজেদের কোনো নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল।
দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু বলেন, আমি যেটুকু জেনেছি, এরা বিএনপি বা এর কোনো অঙ্গসংগঠনের কেউ নয়। তবু যদি দলের কেউ কোনো অন্যায়-অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, আমরা প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
সারাবাংলা/টিআর