সাইবার নিরাপত্তা আইন দ্রুত বাতিল করতে হবে: ইফতেখারুজ্জামান
৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:২৬
ঢাকা: দ্রুত সময়ের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে আইন বাতিল করতে দেরি হওয়ার কথা নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আর এই আইনে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের ন্যয্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ( ৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাতিলযোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আইন, জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ডিজিটাল রাইট, নাগরিক ও ইউনাইটেড নেশনস বাংলাদেশ যৌথভাবে এই গোলটেবিলের আয়োজন করে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সবাই বলেছেন এই আইনটি বাতিলযোগ্য। এটি সংশোধনযোগ্য নয়। এই আইনটি বাতিল করতে হবে। আমি অবিলম্বে আইনটি বাতিলের কথা বলবো। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে তা করতে দেরি হওয়ার কথা নয়।’
তিনি বলেন, ‘এই আইনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অবিলম্বে। তাদের ন্যয্য ক্ষতিপূরণ দ্রুত দিতে হবে। যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। আইনটিতে যারা কর্তৃত্ববাদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। যারা হুকুমের আসামি তাদেরকেও জবাবদিহিতার আওয়াতায় আনতে হবে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে কোন আইনের মধ্যে আর সাইবার সিকিউরিটি শব্দটি থাকা উচিত নয়, সেটি যতো ভালো আইনই হোক না কেন। দেশে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের মাধ্যমে নিরাপত্তার নামে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। নতুন আইন করার সময় এ বিষয়টি অপরিহার্য, যাতে করে আইনের নামে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি না হয়।’
গোলটেবিল বৈঠকে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সাইবার নিরাপত্তার নামে প্রচুর মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- মন খুলে সমালোচনা করতে। তবে হাসিনার সময়েও মামলা হতো, এখন ইউনূসের সময়েও মামলা হচ্ছে।
আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম বলেন, ‘আমাদের মানসিকতা হচ্ছে হয়রানি করা। হয়রানি করাটা মূখ্য উদ্দেশ্য। সাইবার সিকিউরিটি এই আইনে নিশ্চিত করা যায়নি। নতুন আইন করার ক্ষেত্রে কেউ যাতে ওই আইনে হয়রানি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। এছাড়া মানবাধিকারকর্মী, অধিকারকর্মী, নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসআর