আগামী শুক্রবার (১১ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। শান্তিতে নোবেলের প্রার্থী মনোনয়ন ও পুরস্কার প্রদানের দায়িত্বে রয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। এবার এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন ২৮৬ প্রার্থী। এর মধ্যে ১৯৭ ব্যক্তি ও ৮৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
কয়েক বছর ধরে চলমান ইউক্রেনের যুদ্ধ, সুদানে এক কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতির ঘটনা কিংবা গাজার হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে নোবেল কমিটি এ বছর এমন কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে পারেন যিনি বা যেই সংগঠন বিশ্বে মানবিক সংকট কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির তালিকায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, চলতি বছরের তালিকায় সম্ভাব্য নামের মধ্যে সংস্থা হিসেবে রয়েছে ইউনাইটেড ন্যাশনস প্যালেস্টিনিয়ান রিফ্যুজি এজেন্সি। আরও আছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের নামও। আর ব্যক্তি হিসেবে যার নামটি বেশি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হেনরিক উরডাল মনে করেন, ইউনাইটেড ন্যাশনস প্যালেস্টিনিয়ান রিফ্যুজি এজেন্সি হতে পারে চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দাবিদার। গাজা যুদ্ধে সৃষ্ট মানবিক সংকট কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সংস্থাটি।
শান্তি নোবেল বিষয়ের ইতিহাস বিশারদ আসলে স্ভিন মনে করেন, নোবেল কমিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৈরি হওয়া বিশ্ব্য ব্যবস্থায় ওই সময়ে সৃষ্ট আন্তর্জাতিক সংগঠন জাতিসংঘকে বিবেচনা করতে পারে। সেক্ষেত্রে জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হতে পারেন চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল জয়ী। সেইসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসও যৌথভাবে এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে।
এর আগে, স্টকহোমে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটির প্রধান ড্যান স্মিথ বলেন, ‘চলতি বছর নোবেল পিস প্রাইজ কমিটি শান্তিতে পুরস্কার দেওয়া বন্ধ রাখতে পারে। বরং তারা বলতে পারে যে, এটি (পৃথিবী) একটি যুদ্ধে লিপ্ত গ্রহ।’
উল্লেখ্য, প্রতিবছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র ও অর্থনীতি— এই পাঁচ বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য দেওয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘নোবেল’।