রিক্রুটিং লাইসেন্সে শ্রেণিবিন্যাস, প্রতিবাদ বায়রা‘র
১০ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৫৭
ঢাকা : রিক্রুটিং লাইসেন্সে শ্রেণিবিন্যাসের আইন নতুন করে বাস্তবায়নের চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে এর প্রতিবাদে মনববন্ধন কর্মসূচি করা হয়।
এতে বক্তারা বলেন, ‘দেশের সকল রিক্রুটিং এজেন্সি দেশের প্রচলিত আইনে সরকার নির্ধারিত জামানত দিয়ে সমঅধিকারের ভিত্তিতে লাইসেন্স পেয়েছে। লাইসেন্স শ্রেণিবিন্যাসের মূল ভিত্তি হিসেবে অধিক সংখ্যক কর্মী প্রেরণকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু সৌদি, কুয়েত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে সীমিত সংখ্যক এজেন্সিকে কর্মী প্রেরণের সুযোগ করে দেওয়ায় অধিকাংশ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বায়রার যুগ্ম মহাসচিব টিপু সুলতান, বায়রার সাবেক মহাসচিব কাজী মফিজুর রহমান, বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, বায়রার সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল প্রমুখ।
টিপু সুলতান বলেন, ‘আজকে বৈষম্যবিরোধী সরকার যেখানে রয়েছে সেখানে বায়রাতে কেন বৈষম্য সৃষ্টি করা হবে? ২০১৩ সালে এই শ্রেণিবিন্যাসের আইন করেছিল তৎকালীন সরকার। সেই সময় আমাদের তীব্র আন্দোলনের কারণে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।’
বায়রার সাবেক মহাসচিব কাজী মফিজুর রহমান বলেন, ‘১৯৮০ সাল থেকে ব্যবসা করছি, শ্রেণিবিন্যাস কি বুঝতে পারিনি। এখন পরীক্ষা, মার্কিং, চেকলিষ্ট দিয়ে আমাদের শ্রেণিবিন্যাস করা হবে যা কোনভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয় নয়। যেহেতু স্বৈরাচারী সরকার এটা করতে পারেনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এই সরকারও এই অপকৌশল থেকে বিরত থাকবে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে প্রতিনিধি দল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সারাবাংলা/জিএস/এনজে