বাসায় ঢুকে দীপ্ত টিভির ব্রডকাস্ট কর্মীকে হত্যা
১০ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৯
ঢাকা: দীপ্ত টিভির সম্প্রচার বিভাগের কর্মী তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে বাসায় ঢুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বাড়ির দখল নিতে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী ঢুকে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে দাবি করেছে স্বজনরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতের উপ-পরিচালক মো. মামুন ও বিএনপি নেতা রবিউল আলমের নেতৃত্বে তামিমের মহানগর প্রজেক্টের বাসায় সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায় বলে দাবি করেছে পরিবারটি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত তামিমের মামা মাসুদ করিম জানান, চুয়েট থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার বিভাগে যোগ দেন তামিম। মহানগর প্রজেক্টের বাড়িটির সাত তলায় দু’টি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকেন তিনি ও তার পরিবার। প্লিজেন্ট প্রোপ্রার্টিজ (প্রা.) লিমিটেড ডেভলপার কোম্পানি তাদের মোট পাঁচটি ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও কিছুতেই এটি বুঝিয়ে দিচ্ছিল না। এ নিয়ে বছর খানেক আগে একটি মামলাও করা হয়।
তিনি জানান, বুধবার ডেভেলপার কোম্পানির সঙ্গে একটি সমঝোতা হয়। সেই সমঝোতা অনুযায়ী ৮ম তলার দু’টি ফ্ল্যাট তাদের দেওয়ার কথা। সেই সমঝোতা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে ৮ম তলার ফ্ল্যাটে লেবার দিয়ে কিছু কাজ করাচ্ছিলেন তামিম। তখন হঠাৎ ডেভলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপক আব্দুল লতিফ মির্জা, ফ্ল্যাট মালিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতের উপ-পরিচালক মো. মামুন, ডেভলপার কোম্পানির কর্ণধার বিএনপি নেতা রবিউল আলম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সেখানে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা তামিমকে মারধর করতে থাকে তারা।
তিনি আরও জানান, চিৎকার শুনে তামিমের বড় ভাই সামভির জাহান ইসলাম ছুটে এলে তাকেও মারধর করে সন্ত্রাসী। এক পর্যায়ে তারা চলে গেলে ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা চান ভুক্তভোগীরা। এর মধ্যে ভীষণ অসুস্থবোধ করতে থাকেন তামিম। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মনোয়ারা হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তামিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
তামিমের পরিবারের অভিযোগ, মামুন সন্ত্রাসীদের দিয়ে ফ্ল্যাট ও জমি মালিকদের জিম্মি করে জোরপূর্বক সবকিছু দখল করেন। এটা তার আরেকটি পেশা। এর আগেও মামুন ডিবি হারুনের শ্বশুর সোলায়মানের সহযোগিতায় ফ্ল্যাট দখলের বাণিজ্য চালিয়েছে। হারুনের সঙ্গে মামুনের সখ্যতা থাকায় থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেয়নি পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে হাতিরঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএসআর/পিটিএম