ভার্চুয়ালি হয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রথম সভা
১৪ অক্টোবর ২০২৪ ০১:২৭
ঢাকা: সদস্যদের নিয়ে প্রথম বৈঠক করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করে দেওয়া সংবিধান সংস্কার কমিশন। বৈঠকটিতে কমিশন সদস্যরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। বৈঠকে কমিশনের কর্মপরিধি ও কার্যপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টেবার) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম এই সভাতেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য শিগগিরই একটি ইমেইল অ্যাকাউন্ট খোলা হবে। দ্রুতই একটি ওয়েবসাইটও খোলা হবে। কমিশনের পরবর্তী বৈঠক হবে ঢাকায়, আগামী ২১ অক্টোবর।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ, মো. মুসতাইন বিল্লাহ এবং মো. মাহফুজ আলম সভায় উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের সদস্য ড. শরীফ ভুইয়া ভ্রমণে থাকায় প্রথম বৈঠকটিতে অংশ নিতে পারেননি।
সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত সংবিধান সংস্কার কমিশন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ, আহত ও নির্যাতিতদের। স্মরণ করছে স্বাধীনতা-উত্তরকালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা প্রাণ দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের। গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিহত-আহত-নির্যাতিতদের কমিশন স্মরণ করছে।’
শোক প্রস্তাবে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেন কমিশন তাদের আত্মদানকে স্মরণ করে গভীর শোক প্রকাশ করছে। তাদের এই আত্মত্যাগ ও বীরত্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে। কমিশন নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে এবং নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছে গভীর সমবেদনা। এই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তারা যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন, কমিশন সেই প্রার্থনা করছে।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকার শুরু থেকেই রাষ্ট্র কাঠামোয় সংস্কারের কথা বলে যাচ্ছে। পরে সংবিধানসহ ছয়টি খাতের সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করে দেয় সরকার।
সারাবাংলা/টিআর