শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে: চিফ প্রসিকিউটর
১৪ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৪০
ঢাকা: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রাইব্যুনালের কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে রোববার (১৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারক নিয়োগ হওয়া মাত্র ট্রাইব্যুনাল ফাংশনাল হবে। ট্রাইব্যুনাল ফাংশনাল হওয়া মাত্র আমরা গ্রেফতারি পরোয়ানা, আসামিদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা, তথ্য-উপাত্ত জব্দ করার জন্য আদেশ চাইব।
আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য লাগবে। সে ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল থেকে আদেশ আসবে। আদেশ কার্যকর করার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, যাদের কারণে এই ঘটনা সংঘঠিত হয়েছিল, মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছিল, টপ কমান্ডাররা যারা তাদের বিষয়ে অগ্রাধিকার নিয়ে আসছি।
বাংলাদেশের কোনো অপরাধী বাইরে থাকলে ইন্টারপোলের সঙ্গে যে এগ্রিমেন্ট, সেটার কারণে রেড নোটিশ পাঠাতে পারে। সেই রেড নোটিশ পাঠানোর মাধ্যমে অনেককে ফেরত আনতে পারব।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমে নিয়োগ হলেও বাকি রয়েছে বিচারক নিয়োগ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান। এমন পরিস্থিতিতেই আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ