চট্টগ্রামে আড়ত খুলছে, ডিমে স্বস্তি মেলার আশা
১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩৩ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৫৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো : কয়েকদিন ধরে দর নিয়ে অস্থিরতা, আড়তে বিক্রি বন্ধ রাখাসহ নানা ঘটনার পর চট্টগ্রামে পাইকারি পর্যায়ে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে তা-ও সরকারি দরের চেয়ে বেশি। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে অস্থিরতা এখনও কাটেনি।
চট্টগ্রাম নগরীতে গত দু’দিন ধরে আড়তে তালা দিয়ে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছিলেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তৃতীয় দিনে এসে বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে নগরীর পাহাড়তলী ও স্টেশন রোডে কয়েকটি আড়ত ও পাইকারি বিক্রয় প্রতিষ্ঠান খুলেছে। ডিম বিক্রিও হয়েছে দু’দিন আগের চেয়ে কম দামে।
জানা গেছে, নগরীর পাহাড়তলী বাজারে ডিমের আড়ত আছে ১৫টি এবং পাইকারি বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আছে ৩০টি। নগরীর স্টেশন রোডে ডিমের পাইকারি বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ৫০টি। বুধবার এসব আড়ত ও পাইকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতি পিস ব্রয়লার মুরগির ডিম ১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৭০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। ডজন হিসেবে বিক্রি হয়েছে ১৫২ টাকা ৫০ পয়সায়। দু’দিন আগে গত রোববার ডিমের দর ছিল প্রতি পিস ১৩ টাকা ১০ থেকে ২০ পয়সা।
পাহাড়তলী ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কুর লিটন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। এরপর জেলা প্রশাসকের সঙ্গেও কথা হয়েছে। উনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, প্রশাসন আমাদের অহেতুক হয়রানি করবে না। পাশাপাশি আমরাও যেন ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রি করি। জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের পর আমাদের আড়তদার এবং পাইকারি বিক্রেতাদের মধ্যে যে ভীতি ছিল সেটা কেটে গেছে। অনেকেই আড়ত খুলে দিয়েছে। আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
তবে আড়তে বুধবারও ডিমের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। যেসব প্রতিষ্ঠানে মজুত ডিম দেখা গেছে, সেগুলো তিনদিন আগে আড়তে এসেছে বলে জানিয়েছেন আড়তদারেরা।
আব্দুল শুক্কুর লিটন বলেন, ‘সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই-চারদিন লাগবে। ঢাকার কারওয়ান বাজারে ও তেজগাঁও বাজারে কাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে উৎপাদন প্রতিষ্ঠান সরকারি ন্যায্যমূল্যে ডিম সরবরাহ করবে। তখন বাজারে দর কমবে। চট্টগ্রামেও ডিম আসবে, দামও কমবে।’
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ব্রয়লার মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদফতর। এতে উৎপাদন পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা দর নির্ধারণ করা হয়।
এ হিসেবে খুচরা পর্যায়ে এক ডজন ডিমের দাম হয় ১৪২ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এখনও ১৬৫-১৭০ টাকায় ডিম বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর কাজির দেউড়ি বাজারে বুধবার এক ডজন ডিম ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আবার অলিগলির দোকানে ১৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
নগরীর আসকার দিঘীর পাড়ের রাজিব স্টোরের মালিক রিপু নাথ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ডজন ১৭০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি দোকানে ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১৩ টাকা ৫০ পয়সা করে। তাদের প্রতিনিধি যারা আমাদের দোকানে এনে ডিম দেন, তারা দিচ্ছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা করে। শুনেছি, বিকেল থেকে পাইকারিতে আরও কমতে শুরু করেছে। আশা করি, ২-১ দিনের মধ্যে খুচরায়ও কমবে।’
সারাবাংলা/আরডি/এসআর