Thursday 17 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে কনটেইনার-কার্গো হ্যান্ডলিং

স্পেশাল করেসপনডেন্ট
১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম বন্দরে চলতি বছরের নয় মাসে কনটেইনার ও কার্গো (পণ্য) হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত নয় মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৭ শতাংশ এবং কার্গোতে হয়েছে প্রায় ২ শতাংশ।

সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ৬৪টি জাহাজ আছে। এর মধ্যে ৫০টি সাধারণ পণ্যবোঝাই, ৫টি কনটেইনার জাহাজ এবং ৯টি অয়েল ট্যাংকার। এসব জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের কার্যক্রম চলমান আছে।

বিজ্ঞাপন

অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ সংযোজন করে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের কারণে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে এবং এর ফলে বন্দরে পণ্য খালাসের জন্য জাহাজের অপেক্ষার সময় প্রায় শূন্যের পর্যায়ে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের কর্মকর্তারা।

সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ৬৪টি জাহাজ আছে। এর মধ্যে ৫০টি সাধারণ পণ্যবোঝাই, ৫টি কনটেইনার জাহাজ এবং ৯টি অয়েল ট্যাংকার। এসব জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের কার্যক্রম চলমান আছে।

আগের মতো জাহাজ এসে গড়ে দুই-তিনদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না বলে দাবি বন্দর সচিব ওমর ফারুকের।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২২ লাখ ৮৭ হাজার টিইইউস। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ মেট্রিক টন। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২৪ লাখ ৪২ হাজার টিইইউস। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন।

বিজ্ঞাপন

২০২৩ সালের নয় মাসের চেয়ে চলতি বছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার টিইইউস এবং প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। একই সময়ে কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে ১৫ লাখ মেট্রিক টন এবং প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্নভাবে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা চলছে যে, দেশে আমদানি কমে গেছে। সেজন্য বন্দরে জাহাজ, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং কমে গেছে কিংবা বন্দর জাহাজশূন্য হয়ে পড়েছে। বাস্তবে এটা সঠিক নয়। চলতি বছরের নয় মাসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আমরা গত বছরের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণ কনটেইনার এবং কার্গো হ্যান্ডলিং করেছি।’

সূত্রমতে, বন্দরে এখন জাহাজের অপেক্ষার গড় সময়ও কমেছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অধিকাংশ জাহাজই পণ্য খালাস করে কিংবা পণ্য নিয়ে বন্দর ত্যাগ করতে পারছে। এর ফলে বর্হিনোঙ্গরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা কমেছে।

সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের কয়েকটা নতুন ইয়ার্ড হয়েছে এবং সেগুলোতে অলরেডি কাজ শুরু হয়েছে। আধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন করা হয়েছে। এর ফলে ডেলিভারি কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে। ইয়ার্ডে এ মুহুর্তে কনটেইনারের কোনো জট নেই। কম্পিউটারাইজড টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেম (টিওএস) বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে জাহাজকে পণ্য খালাস কিংবা বোঝাইয়ের পর দ্রুততার সঙ্গে রিলিজ দেওয়া হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, বন্দর কর্মকর্তাদের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ও এর আওতাধীন কমলাপুর কনটেইনার ডিপো ও পানগাঁও নৌ টার্মিনাল দিয়ে আমদানি-রফতানি ও খালি সব মিলিয়ে মোট কনটেইনার পরিবহন হয় ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪টি। ২০২১ সালে ৩২ লাখ ১৪ হাজার কনটেইনার পরিবহন হয়েছে।

এর আগে, ২০২০ সালে ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭, ২০১৯ সালে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭, ২০১৮ সালে ২৯ লাখ ৩ হাজার ৯৯৬ এবং ২০১৭ সালে ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ২২৩ কনটেইনার পরিবহন করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর।

২০২২ সালে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮২ মেট্রিক টন কার্গো (পণ্য) পরিবহন হয়। ২০২১ সালে পরিবহন হয় ১১ কোটি ৬৬ লাখ। ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৩২ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০১৯ সালে ১০ কোটি ৩০ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন।

২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর জাহাজ হ্যান্ডলিং করে ৪ হাজার ৩৬১টি। ২০২১ সালে এসেছিল ৪ হাজার ৫৪টি। ২০২০ সালে ৩ হাজার ৭২৮টি এবং ২০১৯ সালে ছিল ৩ হাজার ৮০৭টি।

সারাবাংলা/আরডি/এসডব্লিউআর

কনটেইনার-কার্গো হ্যান্ডলিং চট্টগ্রাম বন্দর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

রাষ্ট্র সংস্কারে আরও ৪ কমিশন গঠন
১৭ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৪১

সম্পর্কিত খবর