পেনশন ভোগান্তি রোধে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা
১৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৫৬
ঢাকা: সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়ে কর্মকরত উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্বখাতে নিয়মিত করা কর্মচারীরা পেনশন নিয়ে নানান ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্ণমেন্ট এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এ দাবি জানায়।
এ বিষয়ে সংগঠনটির মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সেখানে তিনি জানান, ১৯৭২ থেকে ৩০ জুন ১৯৯৭ পর্যন্ত রাজস্বখাতে নিয়মিতকৃত কর্মচারিরা পেনশন নিয়ে নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের প্রশাসনিক জটিলতা ও আর্থিক হয়রানিরও শিকার হতে হচ্ছে। অবিলম্বে এসব সমস্যা নিরসন দরকার।
তিনি আরও বলেন, অর্থ বিভাগের ২৪ মার্চ ২০০৮ ও ২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে জারিকৃত দু’টি পত্রের কারণে শত শত কর্মচারিদের পেনশন ও আনুতোষিকের টাকা অমানবিক ও অন্যায়ভাবে কর্তন করা হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী অধিকাংশ কর্মচারীরা চাকুরিগত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছিল। বিদ্যমান বিধিমালা অনুযায়ী নিয়মিতকৃত কর্মচারীর বেতন, ছুটি, পেনশন ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রকল্পে যোগদানের তারিখ থেকে চাকুরিকাল গণনা হয়ে আসছে। বর্তমানে অর্থ বিভাগের বিতর্কিত দুটি পত্র কর্মচারিদের পেশাগত জীবন ও অবসর জীবনকে অশান্ত ও হুমকির সম্মুখীন করে চলেছে। দিন দিন বৈষম্য ও জটিলতাকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনে মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, যেই দুটি চিঠির বিরুদ্ধে রিট করা হয়েছিল সেই দুটি পত্র আদালত কর্তৃক ২০১২ সালে বাতিল করা হলেও বিষয়টি আজও নিষ্পত্তি করা হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধিতে আনুষঙ্গিক সুবিধাদি বলতে কী কী বুঝানো হয়েছে তার ব্যাখ্যা আজও প্রদান করা হয়নি। এমনকি আপীল বিভাগ, রিভিউ, ফারদার রিভিউয়ের সকল ধাপ সম্পন্ন হলেও অবৈধ ও অকার্যকর ঘোষিত অর্থ বিভাগের জারি করা পত্র দুটি আজও বহাল রয়েছে। এর ফলে সারাদেশে হিসাবরক্ষণ অফিসগুলো শত শত অবসর ও পেনশনমুখী কর্মচারিদের পেনশন ভোগান্তি ও হয়রানি করে চলেছে।
সবশেষ তিনি বলেন, কর্মচারীরা অমানবিক জীবনযাপন করছেন। বিষয়টি মানবিক বিধায় দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে সংবিধানের ১১১ ও ১১২ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংশ্লিষ্টদের প্রতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুনুর রশীদ, অর্থ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. রাহিদুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহীন আহসান।
সম্মেলন থেকে এ বিষয়ে কর্মসূচি ঘোষিত হয়: ২৩ অক্টোবর অর্থ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি, ২৭ অক্টোবর আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি, ৩০ অক্টোবর মন্ত্রীপরিষদ সচিবের কাছে স্মারকলিপি, ২ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মুখে মানববন্ধন, ৯ নভেম্বর প্রেস ক্লাবে সুধী সমাবেশ, ১৭ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এজেডএস